শনিবার নিজের
সরকারি বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, কিন্তু রাজপথ
ছাড়েনি। সুতরাং আওয়ামী লীগকে
আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো
লাভ নেই।
“আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আজ
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সামনে রেখে যারাই দেশে অস্থিরতা তৈরি
করতে চাইবে, জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া
হবে। যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে সমুচিত
জবাব দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে।”
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাত্তরের
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধান মিত্র ছিল ভারত। স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই ভারতের সরকার প্রধানকে
আমন্ত্রণ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিশেষকে নয়।
“এখন
স্পষ্ট যে কারা নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের শাল্লায়
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করছে।”
এসব হামলা ও লুটপাটের ঘটনাকে
‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’ আখ্যায়িত করে কাদের বলেন, এই
সাম্প্রদায়িক শক্তিই কাফন নিয়ে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনার
পুনরাবৃত্তি করার হুমকি দিয়েছিল।
“নরেন্দ্র
মোদীর সফর প্রতিহত করার ঘোষণা এবং ইতোমধ্যে
সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ারও হুমকি
দিয়েছিল।”
‘উগ্র
সাম্প্রদায়িক এ অপশক্তিকে’ প্রতিহত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ
হবার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশের
সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের অষ্টম
মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জিল্লুর রহমানের স্মৃতি ‘প্রেরণার উৎস’ হয়ে থাকবে।