কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশের রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, এ ব্যাপারে তারা
মাঠপর্যায়ে যাচাই করে প্রমাণ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম
অনুসারে প্রতিটি ইটের পরিমাপ হবে দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ৫ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৩
ইঞ্চি। কয়েকটি ভাটার ইট মেপে দেখা গেছে, দৈঘ্য সাড়ে ৯ ইঞ্চি, প্রস্ত সাড়ে ৪ ইঞ্চি
ও উচ্চতা পৌনে ৩ ইঞ্চি করে তৈরি করা হয়েছে।
অনেকেই এই নিয়ম মানছেন না
জানিয়ে তিনি বলেন, “নিম্নমানের ও পরিমাপে ছোট ইট তৈরি
হচ্ছে। এসব ইট কিনে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন
(বিএসটিআই) এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
তবে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি
বলে তিনি জানান।
রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, মানসম্পন্ন মাটি দিয়ে সঠিক পরিমাপে ইট
তৈরির জন্য সব ভাটামালিককে চিঠি দেওয়া আছে।
“নিম্নমান ও
পরিমাপে ছোট ইট তৈরি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে এ নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ
আসেনি। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা ইটভাটা
মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “প্রতিযোগিতার বাজার। কেউ যদি ছোট ইট তৈরি
করে তার ইট মানুষ কেন কিনবে? মাপ দেখেই গ্রাহকরা ইট কেনে।”