ক্যাটাগরি

শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে রাজাপাকসে

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড
বল রুমে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সম্মানে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ও নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন
মাহিন্দা রাজাপাকসে।

বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে রাজাপাকসেকে লাল
গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে।

বিমানবন্দর থেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সরাসরি
চলে যান সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে, সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বেলা ৩টায় হোটেল
সোনারগাঁওয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পর বিকাল সাড়ে ৪টায়
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজাপাকসে।  

ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত
থেকে বক্তব্য রাখেন।

সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড
বল রুমে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজে যোগ দেন মাহিন্দা
রাজাপাকসে।

ছবি: পিআইডি

ছবি: পিআইডি

সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে
তার।

ওইদিন বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় তিনি কলম্বোর পথে রওনা হবেন।

শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী,
তাঁত ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী, গ্রামীণ গৃহায়ন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী শিল্প প্রতিমন্ত্রী,
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ২৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল
এই সফরে প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের সঙ্গে রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
উপলক্ষে বাংলাদেশের দশ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা হয়েছে গত ১৭ মার্চ, জাতির জনকের জন্মদিনে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে তার সমাপ্তি হবে।

প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা
বাংলাদেশের এ উদযাপানের সঙ্গী হচ্ছেন। আয়োজনের প্রথম দিন বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের
অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।

এছাড়া নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী
২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ মার্চ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসবেন।