আওয়ামী লীগ নেতা ও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “সুনামগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এলাকা। এই এলাকার মানুষ সম্পর্কে কেউ যদি বলে এই এলাকার মানুষ সাম্প্রদায়িক, আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। সেখানে মানুষ সাম্প্রদায়িকতা দ্বারা আচ্ছন্ন হবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
“যখন শান্তির বাণী নিয়ে, জাগরণের বাণী নিয়ে, অগ্রযাত্রার দৃঢ় স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনা এগোচ্ছেন ঠিক তখন ‘নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস’। যখনই শেখ হাসিনার জয়রথ ঠিক তখন এইসব নাটকের পুনরাবৃত্তি।”
রাজনীতিতে জিল্লুর রহমানের অবদার স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করেন, তাদের উচিত হবে এসব সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেওয়া।
“জিল্লুর ভাইয়ের মত লোকের নেত্রীর (শেখ হাসিনার) পাশে থাকার দরকার ছিল। উনি মন্ত্রী ছিলেন, রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে যে সঙ্কল্প ছিল তা অনেকেই হয়ত জানেন না।”
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকে যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারাই সেদিন এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।”
জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘এই মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদের সেই অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর তারা যদি গণতন্ত্রের কথা বলেন, তখন মানুষের কাছে সেটা যৌক্তিক মনে হলে হতেও পারে।’
‘জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি’ সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য নূরুল আমীন রুহুল,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।