কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত এক বছর ধরে পুরো বিশ্ব থমকে আছে। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি মানুষের জীবনে এ মহামারীর ধাক্কা লেগেছে। যে কারণে এবারের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীকে।
বিশ্বজুড়ে ১২ কোটির বেশি মানুষের এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৭ লাখে বেশি।
২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে এ নিয়ে নবমবারের মত এসডিএসএন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছে। তবে এর আগে আংশিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ৯৫টি দেশের নাম আছে।
সিএনএন জানায়, ‘গলআপ ওয়ার্ল্ড পোল’ থেকে পাওয়া ডেটার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
২০১২ সাল থেকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), গড় আয়ু, সামাজিক উদারতা, সামাজিক সহায়তা, স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে সুখী দেশগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। এ বছর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মত সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে ফিনল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে অষ্টাদশ থেকে দেশটি এখন চারধাপ এগিয়ে চতুর্দশতম স্থানে। অবনতি হয়েছে যুক্তরাজ্যের, ত্রয়োদশ থেকে দেশটি নেমে গেছে অষ্টাদশে। অস্ট্রেলিয়ার তাদের গতবারের অবস্থান ধরে রেখেছে, আছে দ্বাদশ স্থানে।
এবারের প্রতিবেদনের সহ-সম্পাদক অধ্যাপক জেফরি সাচস বলেন, ‘‘আমাদের দ্রুত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
‘‘এই মহামারী আমাদের বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যার বিরুদ্ধে দ্রুত একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।”
এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে। ২০২০ সালে তালিকার ১৫৩টি দেশের মধ্যে ১০৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ এবার উঠে এসেছে ৬৮তম অবস্থানে। এবারের আংশিক তালিকায় ভারতের অবস্থান ৯২ নম্বরে।
সেনাঅভ্যুত্থানের উত্তাল হয়ে উঠা মিয়ানমারের অবস্থান ভারতের উপরে, ৮৯তম স্থানে। চীন আছে ৫২তম অবস্থানে।
আংশিক তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা বা নেপালের নাম নেই।
তালিকায় ৯৫তম অবস্থানে আছে জিম্বাবুয়ে। তার উপরে আছে তানজানিয়া ও জর্ডান।