ক্যাটাগরি

৪০০ ছুঁয়ে আলিম দারের অনন্য কীর্তি

শুক্রবার আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নেমে পাকিস্তানের দার স্পর্শ করেন আহসান রাজার ৫২ ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড। শনিবার এই দুই দলের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তিনি ছাড়িয়ে যান তার স্বদেশিকে।

১৩৬ টেস্ট, ২১১ ওয়ানডের সঙ্গে ৫৩ টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করে দার এখন তিন সংস্করণেই সবার ওপরে। ১২৮ টেস্ট পরিচালনা করে তার পরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক আম্পায়ার স্টিভ বাকনর। ওয়ানডেতে দারের পরে দক্ষিণ আফ্রিকার রুডি কোয়ের্টজেন, ২০৯ ম্যাচ।

তিন সংস্করণ মিলে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড অনেক আগেই গড়েছেন দার। তার থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা কোয়ের্টজেনের ম্যাচ ৩৩১টি। তৃতীয় স্থানে থাকা বাকনরের মোট ম্যাচ ৩০৯টি।

অসাধারণ এই কীর্তি গড়া দার আইসিসির মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন নিজের অনুভুতি।

“আমি এই অর্জনকে আমার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের উৎসর্গ করতে চাই। আইসিসি, পিসিবি, আমার ক্লাব পি অ্যান্ড টি জিম খানা এবং আমার মেন্টর আজহার জাইদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্লাব অফিসিয়ালদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সহায়তা ও সমর্থনের জন্য।”

আম্পায়ার হিসেবে দারের ক্যারিয়ার শুরু ২০০০ সালে, গুজরানওয়ালাতে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে দিয়ে। তিন বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে হয় আম্পায়ার হিসেবে টেস্ট অভিষেক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ার হিসেবে তার পথচলা শুরু ২০০৯ সালে, দুবাইয়ে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে।

১২ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে ১৭টি প্রথম শ্রেণি ও ১৮টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেন দার। এরপর আম্পায়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। আইসিসির এলিট প্যানেলে আছেন ২০০৪ সাল থেকে।