ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ১৫ রান করা লোকেশ রাহুল একাদশে জায়গা হারান শনিবার শেষ ম্যাচে। তার জায়গায় কোহলি নিজেকে তুলে আনেন ওপেনিংয়ে। খেলেন ৫২ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস। রোহিতের সঙ্গে গড়েন ৫৬ বলে ৯৪ রানের জুটি। রোহিত খেলেন ৩৪ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। ইংলিশদের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ড ২২৪ রান তোলার পর বোলারদের নৈপুণ্যে বড় জয়ে স্বাগতিকরা জিতে নেয় সিরিজ।
এই ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে ৮৩ ইনিংসের মধ্যে সাতবার ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন কোহলি। যার সবশেষটি ছিল ২০১৮ সালের জুনে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই সাত ইনিংসে তিনি ৪০ পার করতে পেরেছিলেন কেবল একবার, ২০১২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০। এবার খেললেন ওপেনিংয়ে তার সর্বোচ্চ ইনিংস।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার ব্যাখ্যা করলেন, কেন কোহলিকে ওপেনিংয়েই দেখতে চান তিনি।
সুনিল গাভাস্কার। ফাইল ছবি
“দলের সেরা ব্যাটসম্যানের অবশ্যই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যত বেশি ওভার সম্ভব ব্যাটিং করা উচিত। তাই বিরাট কোহলির ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে ব্যাট করাটা গুরুত্বপূর্ণ। লোকেশ রাহুলের ফর্ম হারানো সম্ভবত আশীর্বাদ হয়ে এসেছে দলের জন্য। ওপেনিংয়ে নতুন এক জুটি পরখ করে দেখার সুযোগ পেয়েছি আমরা।”
বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা গাভাস্কার এখানে উদাহরণ হিসেবে টানলেন আরেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারকে।
“শচিন টেন্ডুলকারও একসময় ওয়ানডেতে ব্যাটিং লাইনআপে পরের দিকে ব্যাট করত। তাকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর পর শুধু তার ব্যাটিংয়েই পরিবর্তন আসেনি, পুরো দলের ব্যাটিংই বদলে গিয়েছিল। তাই পরিষ্কারভাবে সেরা ব্যাটসম্যানকে যত বেশি ওভার সম্ভব ব্যাট করার সুযোগ দিতে হবে।”
ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম চার ম্যাচে ভারতের উদ্বোধনী জুটির রান ছিল যথাক্রমে ২, ০, ৭ ও ২১। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অধিনায়ক আর সহ-অধিনায়ক একসঙ্গে ওপেনিংয়ে নামতেই বদলে যায় চিত্র। গাভাস্কার চান এই ওপেনিং জুটি অব্যাহত থাকুক।
“এই ওপেনিং ফর্মুলা আমি ধরে রাখতে চাইব…দলের দুই নেতা যখন পথ দেখায়, তখন নিচের দিকে নামা ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়।”