রোববার মধুখালী
উপজেলার মাঝকান্দিতে ট্রাক-মাইক্রোবাস এবং ভাঙা উপজেলার বিশ্বরোড় মোড়ে
প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে মধুখালীর
মাঝকান্দিতে মারা যান নয় জন এবং ভাঙার বিশ্বরোড় মোড়ে মারা যান দুই জন।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার এসআই কাওসার হোসেন বলেন,
ঝিনাইদহ থেকে একটি মাইক্রোবাস ঢাকার আশুলিয়া যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালীর
মাঝকান্দিতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে
মাইক্রোবাসের দুই জন নিহত হন।
“ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর আহতদের মধ্যে
আরও ছয় জন মারা যান।”
এছাড়া ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান বলে তিনি জানান।
মধুখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা টিটো সিকদার বলেন, উপজেলার
মাঝকান্দির মোড়ে পারিশা ফিলিং স্টেশন থেকে একটি ট্রাক জ্বালানি নিয়ে মহাসড়কে ওঠার
সময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
নিহত মাইক্রোবাস যাত্রীদের সকলের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর
উপজেলায়।
মহেশপুরের কাজিরবেড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, এই দুর্ঘটনায়
নিহতদের মধ্যে ইউনিয়নের সামান্তাবাজারের এক পরিবারের ছয় ব্যক্তি
রয়েছেন।
এরা হলেন মিয়াজান
বিবি (৬৫), তার মেয়ে আমেনা বেগম (৫০), প্রয়াত ছেলে মোহরের স্ত্রী কুটি বিবি (৫২),
তার মেয়ে মরিয়ম (২০), তার সন্তান (৬), মনিয়মের স্বামী জুয়েল (৩২)।
এছাড়া রয়েছেন মাইক্রোবাস চালক আলামিন (৩০) ও তার সহযোগী নজরুল
ইসলাম (৬০) ও অ্যাডভোকেট আব্বাস আলী (৬০)।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান
বলেন, লাশ হস্তান্তরের কাজ চলছে। নিহতদের পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যান এসেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়া হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা, সহকারী
কমিশনার সীমা রানী সাহা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, নিহত প্রত্যেকের জন্য ১৫
হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। অন্যদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সহযোগিতা করা হবে।
ভাঙার
বিশ্বরোড মোড়ে নিহত ২ জন
ভাঙা উপজেলার বিশ্বরোড় মোড়ে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল
আরোহী দুই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে মারা যান।
এরা হলেন রনি ফকির (২০) ও শাকিল খান (২২)। তাদের বাড়ি পৌর
এলাকার সরদী মহল্লায়।