শনিবারে দলটির স্থায়ী কমিটির
ভার্চুয়াল সভায় বিএনপির এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয় বলে রোববার দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়।
সেখানে বলা হয়, “স্থায়ী কমিটির
সভায় অতি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও আক্রান্ত ব্যক্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক
হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, অতীতের মত এই পর্যায়ে
সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও কার্য্করী ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর
হার বেড়ে চলেছে।”
বিএনপি বলছে, জনগণের স্বাস্থ্যবিধি
মানার ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাগুলোর ‘উদ্যোগ গ্রহণের ব্যর্থতা’ আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির
সৃষ্টি করেছে।
“সরকারের ভ্যাকসিন সংগ্রহ,
সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা ও অস্পষ্টতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।”
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপির
তিন দফা প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সভায় বলা হয়, “অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সকল
প্রতিষ্ঠান, এজেন্সিগুলোকে সমন্বয় করে জনগণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কার্য্করী ব্যবস্থাগ্রহণ,
হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত আইসিইউসহ চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা রাখা এবং ভ্যাকসিন সংগ্রহ,
সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জনগণকে অবহিত এবং কার্য্করী ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য সভায় আহবান জানানো হয়।”
শনিবার বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা
আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী
ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
স্থায়ী কমিটির সভায় সদ্য
প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম
চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের
গ্রামে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত
করে তাদের বিচার দাবি করা হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়
নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আক্রান্ত
নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে
গঠিত টাস্কফোর্স সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়।