ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: এক দিনে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় উল্লম্ফন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও
২ হাজার ৮০৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৩০
জনের।

দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে
গতবছরের ২০ অগাস্ট এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেদিন মোট ২ হাজার ৮৬৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

আর সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল তিন মাস আগে, গত ৭
জানুয়ারি; সেদিন ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। তিন
মাসের বেশি সময় পর দৈনিক শনাক্তের হার ১১ শতাংশের বেশি হল। এর আগে ১০ ডিসেম্বর
শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
আরও ১ হাজার ৭৫৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর
মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৫৯ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা
পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে
গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ
শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে
প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ তা সাড়ে আট
হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো
হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২১৯টি
ল্যাবে ২৫ হাজার ১১১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ৩৪
হাজার ২৩০টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯
শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার
হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩
লাখ ৭৮ হাজার ৮২৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৭টি।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ আর
নারী ৫ জন। তাদের ২৯ জন হাসপাতালে ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১
থেকে ৬০ বছর, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের
বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ২৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের,
১ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৭২০ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৫৯৫
জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১২৫ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৮৭৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি।
এছাড়াও ২ হাজার ১৫৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৮৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০
বছরের মধ্যে, ৪২৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের
মধ্যে, ৬৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৯১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬০০ জন
চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৮৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৭০ জন খুলনা বিভাগের, ২৬৫ জন বরিশাল
বিভাগের, ৩১৫ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।