এ সংক্রান্ত আবেদন
সোমবার আপিল
বিভাগের অবকাশকালীন
চেম্বার আদালতে
তোলা হলে
বিচারপতি ওবায়দুল
হাসান আবেদনটি
আগামী ২৮
মার্চ শুনানির
জন্য রাখেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে
ছিলেন আইনজীবী
মো. খুরশীদ
আলম খান।
অন্য পক্ষে
ছিলেন অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড
হাসিনা আক্তার।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ
আলম খান
পরে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই রায়
স্থগিত চেয়ে
রোববার আবেদন
করেছিলাম। আজ শুনানির জন্য তালিকায়
ছিল। কিন্তু
অপরপক্ষ সময়
চেয়ে আবেদন
করায় আগামী
২৮ মার্চ
শুনানির তারিখ
রাখেন। ফলে
নরসিংদীর আতাউর
রহমান ওরফে
সুইডেন আতাউর
রহমান ওইদিন
পর্যন্ত বিদেশ
যেতে পারবেন
না।”
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে দুদককে অনুমতি নিতে হবে: হাই কোর্ট
হাই কোর্ট ওই
রায়ে বলেছে-
এ বিষয়ে
সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন নেই।
তাহলে কী
যুক্তিতে সে
রায়টি স্থগিত
চেয়েছে দুদক,
তা জানতে
চাওয়া হয়েছিল
দুদকের আইনজীবীর
কাছে।
উত্তরে এ আইনজীবী
বলেন, “আমরা
বলেছি, অনুসন্ধান
এবং তদন্তের
অনেক কাজ
করতে হচ্ছে
কমিশনকে। এখন
অনুসন্ধান বা তদন্ত পর্যায়ে যদি
এ ধরনের
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া না যায়, তাহলে
তো অনুসন্ধান
বা তদন্ত
অকার্যকর হয়ে
যাবে। অনেক
আসামি, সন্দেহভাজন
পলাতক। এখন
যারা আছে,
তারাও পালিয়ে
যাবে, আটকাতে
পারব না।”
গত বছর ২৪
অগাস্ট সম্পদের
তথ্য চেয়ে
নরসিংদীর আতাউর
রহমানকে নোটিস
দেয় দুদক।
তিনি তথ্য
দাখিল করার
পর ২২
অক্টোবর তার
বিরুদ্ধে জ্ঞাত
আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে
নামে কমিশন।
এই অনুসন্ধান চলাকালে
গত বছর
২০ ডিসেম্বর
আতাউর রহমান
যাতে দেশ
ত্যাগ করতে
না পারেন,
সে জন্য
দুদক ইমিগ্রেশন
পুলিশকে চিঠি
দেয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ
করে ব্যবসায়ী
আতাউর রহমান
চলতি বছর
রিট আবেদন
করেন। প্রাথমিক
শুনানি নিয়ে
হাই কোর্ট
দুদকের নোটিসের
বৈধতা প্রশ্নে
গত ৪
ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে।
সে রুলটি যথাযথ
ঘোষণা করে
গত ১৬
মার্চ রায়
দেয় বিচারপতি
এম ইনায়েতুর
রহিম ও
বিচারপতি মো.
মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট
বেঞ্চ।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা
হয়, দেশত্যাগে
নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুদকের সুনির্দিষ্ট
আইন বা
বিধি নেই।
এ কারণে
এ বিষয়ে
দ্রুত সুনির্দিষ্ট
আইন বা
বিধি করা
প্রয়োজন। যতদিন
আইন বা
বিধি প্রণয়ন
না হচ্ছে,
ততদিন সংশ্লিষ্ট
বিশেষ জজ
আদালতের কাছ
থেকে দুদককে
অনুমতি নিতে
হবে। তা
না হলে
সেটা সংবিধানের
লঙ্ঘন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৬
অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “জনস্বার্থে আইনের
দ্বারা আরোপিত
যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র
অবাধ চলাফেরা,
ইহার যে
কোনো স্থানে
বসবাস ও
বসতি স্থাপন
এবং বাংলাদেশ
ত্যাগ ও
বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করিবার অধিকার প্রত্যেক
নাগরিকের থাকিবে।”