দেশটির সাংবিধানিক আদালত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহামেদ বাজৌমের নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রোববার পশ্চিমাঞ্চলীয় তাহৌয়া অঞ্চলে হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহামাদু ইসৌফু হামলা এ ঘটনাটিকে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যায়িত করে তিল্লিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
“এইসব অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে সবকিছু করা হচ্ছে,” নিজের দাপ্তরিক টুইটার একাউন্টের এক পোস্টে বলেছেন তিনি।
নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাকটু নাইজারের ভাষ্য অনুযায়ী, মালি সীমান্তের নিকটবর্তী গ্রাম ইন্তাজায়েনে, বাকোরাতে, উয়িরস্টেইনের কুয়া ও আকিফাকিফ শিবিরের কাছে হামলাগুলো চালানো হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেটার সাহারার (আইএসজিএস) সঙ্গে জড়িত জঙ্গিরা এই এলাকাগুলোয় তৎপরতা চালিয়ে থাকে বলে জানিয়েছে তারা।
অ্যাকটু নাইজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত সৈন্য ওই এলাকায় পাঠানোর পর আক্রান্ত গ্রামগুলোর একটিতে নাইজারের সৈন্য ও হামলাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পশ্চিমে তাহৌয়া ও তিল্লাবেরি অঞ্চল এবং দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় দিফায় ইসলামিক স্টেট, আল কায়েদার সাহেল গোষ্ঠী এবং নাইজেরিয়ার বোকো হারাম গোষ্ঠীর হামলা ও বেসামরিকদের বাড়তে থাকা হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাপে আছেন নতুন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজৌম।
তাহৌয়ার এ ঘটনার মাত্র সপ্তাহখানেক আগে মালি সীমান্তের তিল্লাবেরি অঞ্চলের বানিবানগৌ এলাকায় আরেকটি হামলায় ঘটনায় প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছিল।