জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে সোমাবার সকালে ঢাকা পৌঁছান নেপালের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে স্বাগত জানান।
ঢাকায় নেমেই সড়ক পথে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান নেপালের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
নেপালের প্রেসিডেন্ট স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারী।
পরে তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং একটি উদয়পদ্মের চারা রোপণ করেন। পরিদর্শন বইতে তিনি লেখেন নেপালি ও ইংরেজি ভাষায়।
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “শহীদদের আত্মদান শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরই জন্ম দেয়নি, দেশের শক্ত ভিত তৈরি এবং দ্রুত উন্নয়নে জনগণকে উৎসাহিত করেছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন এই বাস্তবতার প্রতিফলন।
“মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্নপূরণে শান্তি-সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশের জনগণের অর্জনকে আমি নেপালের জনগণ, সরকার ও আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা জানাই।
ঢাকায় দুই দিনের সফরের প্রথম দিন সোমাবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন বিদ্যা দেবী। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন।
প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। পরে সেখানে তিনি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।