ক্যাটাগরি

‘রানওয়ের মাটি ছুঁয়ে’ চলে গেলেন কবি-গীতিকার খালিদ আহসান

রেনেসাঁ’র ‘ঘুম নেই ঘুম হারা’, ‘রানওয়ের মাটি ছুঁয়ে উড়ে গেল ডানা মেলে’ বা সোলসের ‘নদী এসে পথ’- এসব জনপ্রিয় গানের গীতিকার কবি খালিদ আহসান সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

কবির পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়, মাসখানেক ধরে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। যে কারণে প্রথমে তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হলে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক কন্যা ও জামাতা এবং অসংখ্যা বন্ধু-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে যান।

খালিদ আহসান ছিলেন সত্তর দশকের তুখোড় কবি ও গীতিকার।

রেনেসাঁ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সংগীত শিল্পী নকিব খানের মতে, তার মতো এত উঁচু মাত্রার গীতি-কবি খুব কমই আছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, “আসলে আমরা বন্ধু ছিলাম। তার কবিতাগুলো এত ভালো আর অন্যরকম যে তাকে দিয়ে এক প্রকার জোর করেই গান লিখিয়েছিলাম সোলস’য়ের জন্য। সেই ১৯৮০’ সালে।”

এরপর তো বেশ কয়েকটি গান তিনি ব্যান্ডের জন্য লিখেছেন। রেনেসাঁ’র ‘রানওয়ের মাটি ছুঁয়ে’, ‘ঘুম নেই ঘুম হারা’ গানগুলো তারই লেখা। তার লেখনির একটা আলাদা মাত্রা আছে। যে কারণে গানগুলো অন্যরকম।” বললেন নকিব খান।

শুধু কবিতা বা গান নয়, তিনি দেশের প্রথম সারির একজন প্রচ্ছদ শিল্পী। স্বাধীনতার পরে অধিকাংশ প্রধান লেখকের বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন তিনি।

খালিদ আহসান ১৯৫৭ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মো. মোবিনুল হক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা মোহসেনা বেগম।

তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে- শীতের কফিন থেকে উৎসারিত মানিপ্ল্যান্ট (২০০১), মন্দলোক ও কাঠের ঘোড়া (২০০৪), তোমাকে পানকৌড়িকে (২০০৮) ও এনেসথেসিয়া (২০১০), পৃথিবীর শিরা-উপশিরা (২০১২), কলম লিখেছে কবিতা আমি তার প্রথম শ্রোতা (২০১৪), বর্ণ, চক্ষু, অন্তঃকরণ (২০১৪), ঝিঁঝিঁর কনসার্ট (২০১৯)। তাঁর সম্পাদিত ছোট কাগজ : চোখ (১৯৭৮), বুলেট (১৯৭২)।