সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর মধ্যে বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান এ বিষয়ে একমত হন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
রাত নয়টার দিকে নেপালের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে স্বাগত জানান।
প্রেস সচিব বলেন, “পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপতি।”
জয়নাল আবেদীন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে বাংলাদেশে আসার জন্য নেপালের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাস বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক সময়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীর সন্ধিক্ষণ। এই অনুষ্ঠানে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ আনন্দিত ও গর্বিত। ”
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদ্যা ভাণ্ডারীর এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
রাষ্ট্রপতি এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপালের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।
আবদুল হামিদ সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
প্রেস সচিব বলেন, “রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বহুক্ষেত্র রয়েছে যেখানে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করে দুই দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তিনি এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব দেন।
“নেপালের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এর ফলে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
প্রেস সচিব বলেন, “বৈঠকে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায় ও উন্নয়নে অগ্রগতির প্রশংসা করেন।”
বাংলাদেশ জিটুজি প্রক্রিয়ায় নেপালকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান বিদ্যা ভাণ্ডারী।
পরে রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রীয় ভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও অংশ নেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য, তিনবাহিনীর প্রধান, পুলিশের আইজি উপস্থিত ছিলেন।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান নেপালের প্রেসিডেন্ট। এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।