মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় রোববার ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে কিরান ট্রিপিয়ারের ক্রসে বল জালে পাঠিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন সুয়ারেস। পরে গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক আলাভেসের পেনাল্টি রুখে দিলে সুয়ারেসের গোলেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
জন্মভূমির ক্লাব নাসিওনালের হয়ে সুয়ারেসের পেশাদার ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু। দলটির হয়ে ১২ গোল করেছিলেন তিনি। এরপর ইউরোপে খেলেছেন পাঁচটি ক্লাবের হয়ে।
প্রতিটা ক্লাবেই নিজেকে প্রমান করেছেন সুয়ারেস। ১৫ গোল করেন নেদারল্যান্ডসের দল খ্রোনিয়ানের হয়ে। এরপর আরেক ডাচ ক্লাব আয়াক্সের হয়ে ১১১ গোল করে যোগ দেন লিভারপুলে। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে করেন ৮২ গোল। এরপর বার্সেলোনায় শুরু হয় তার সবচেয়ে বর্ণাঢ্য অধ্যায়। লিওনেল মেসির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে কাতালান দলটির হয়ে করেন ১৯৮ গোল।
চলতি মৌসুমের শুরুতে আতলেতিকোয় যোগ দেওয়ার পরও নিজের জাত চিনিয়ে চলেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে এ পর্যন্ত করেছেন ১৯ গোল।
তার বাকি ৬৩ গোল জাতীয় দলের হয়ে।
সব মিলিয়ে ৭৯৪ ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। গড়ে প্রতি ১ দশমিক ৫ ম্যাচে একটি করে গোল করেছেন তিনি।
উরুগুয়ে, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনে পেয়েছেন লিগ জয়ের স্বাদ। বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। উরুগুয়ের হয়ে জিতেছেন কোপা আমেরিকা।
আরও একটি পালক যোগ হতে পারে তার অর্জনের মুকুটে। এবারের লা লিগায় আর বাকি আছে ১০ রাউন্ডের খেলা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে সুয়ারেসের দল আতলেতিকো। গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ তাদের চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে তিনে।
মাইলফলকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সুয়ারেস। এক পোস্টে লিখেছেন মাইলফলকে পৌঁছে গর্ব বোধ হওয়ার কথা। আরেক পোস্টে ফিরে তাকিয়েছেন ফেলে আসা দিনে।
“৫০০ গোল এবং আরও অনেক স্মৃতি। মন্তেভিদেইয়ো থেকে মাদ্রিদ, ধন্যবাদ …।”