কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে এনএসডব্লিউর রাজধানী সিডনির আশপাশে ও কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণপূবাঞ্চলের নদী ও বাঁধগুলো উপচে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
‘৫০ বছরের মধ্যে একবার ঘটা’ এ বন্যা সারা সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে কর্মকর্তারা লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনএসডব্লিউর মধ্যউত্তর উপকূল থেকে ১৫ হাজার লোক এবং সিডনি থেকে আরও তিন হাজার জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যারা এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাদের অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
“এটি আমাদের দেশের জন্য আরেকটি পরীক্ষার সময়,” সোমবার সিডনি রেডিও স্টেশন টুজিবিতে বলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার আড়াই কোটি জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশের বসবাস যে এলাকাগুলোতে সেখানেই বন্যা দেখা দিয়েছে আর এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এনএসডব্লিউর প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান জানিয়েছেন, যে এলাকাগুলো ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’ তার অনেকগুলো গত গ্রীষ্মে দাবানল ও খরার কবলে পড়েছিল।
Crews worked for 3 hours overnight to safely and slowly evacuate 5 adults and 4 kids after they found themselves isolated by moving floodwater. The silver lining was that everyone arrived to the evac centre in style – via our big red trucks. pic.twitter.com/6E5PptL7og
— Fire and Rescue NSW (@FRNSW) March 21, 2021
“রাজ্যের ইতিহাসে আর কখনো মহামারীর মাঝে পরপর এ রকম চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি ছিল কিনা তা জানিনা আমি,” বলেছেন তিনি।
জরুরি বিভাগগুলো অন্তত ৫০০ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে, এগুলোর মধ্যে গাড়িতে আটকা পড়া লোকজনও ছিল। বন্যাকবলিত একটি বাড়ি থেকে হেলিকপ্টারযোগে একটি পরিবারকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
সিডনির পশ্চিমে বন্যায় ডুবে যাওয়া একটি বাড়ি থেকে একটি নবজাতকসহ এক পরিবারকে উদ্ধার করেছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো সাম্প্রতিক দিনগুলোর বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছে। কিছু কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
সোমবার কর্তৃপক্ষগুলো সিডনির উত্তর ও পশ্চিমের, এনএসডব্লিউর কেন্দ্রীয় উপকূল এবং হকসবারি উপত্যকার নিচু এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্নবোধ করছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
উপচে পড়া নদীর পানিতে রাস্তা ও সেতু ডুবে গেছে। এ কারণে সোমবার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর প্রায় ১৫০টি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে খামারের গরু, ভেড়াকে ভাসতে দেখা গেছে। এসব এলাকার অনেক বাড়িতে পানি জানালা ছুঁইছুঁই করছিল।