প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে ৪-২ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। একটি করে গোল আনহেল দি মারিয়া ও দানিলো পেরেইরার।
এই ম্যাচ দিয়ে চোট কাটিয়ে প্রায় দেড় মাস পর মাঠে ফেরেন নেইমার। বদলি নেমে শেষ ২০ মিনিট খেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
লিগে দুই দলের প্রথম দেখায় গত ডিসেম্বরে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি।
গত রাউন্ডে নঁতের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারা পিএসজি পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। বাঁ দিক দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে নিচু ক্রস বাড়ান এমবাপে। প্রথম স্পর্শে মোইজে কিনের নেওয়া শট পা দিয়ে ফেরান লিওঁর গোলরক্ষক অঁতনি লোপেস।
ত্রয়োদশ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি কার্ল তোকো একাম্বি।
পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। মার্কো ভেরাত্তির জোরালো শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর ছয় গজ বক্সের কোণায় বল পান এমবাপে। ফরাসি ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের নিচু শটে বল লোপেসের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেয়।
৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। প্রেসনেল কিম্পেম্বের ক্রসে ডি-বক্সে মার্কিনিয়োসের হেড পাসে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দানিলো।
বিরতির পরও আধিপত্য ধরে রাখে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি-কিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন দি মারিয়া।
৫১তম মিনিটে একাম্বির শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। পরক্ষণেই ব্যবধান আরও বাড়ান এমবাপে। নিজেদের অর্ধ থেকে ভেরাত্তির পাস ধরে এগিয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
চলতি মৌসুমে লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপের গোল হলো ২৫ ম্যাচে ২০টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিওঁর মেমফিস ডিপাইয়ের চেয়ে ৬টি বেশি।
৬২তম মিনিটে ব্যবধান কমায় লিওঁ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন আলজেরিয়ার ফরোয়ার্ড ইসলাম স্লিমানি।
এমবাপের বদলি হিসেবে ৭০তম মিনিটে মাঠে নামেন নেইমার। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ফরাসি কাপের শেষ বত্রিশে ওঠার পথে কঁয়ের বিপক্ষে দলের ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে বাম অ্যাবডাক্টরে চোট পেয়েছিলেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের নয় মিনিট বাকি থাকতে আরেকটি গোল শোধ করেন মাক্সওয়েল।
৩০ ম্যাচে ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৬৩। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দুইয়ে নেমে গেছে লিল। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লিওঁ।