এনগ্যাজেটের এক প্রতিবেদন বলছে, ব্রাজিলের সাও পাওলো চার্জার ছাড়া আইফোন ১২ পেয়ে সন্তুষ্ট হয়নি। ওখানের ভোক্তা সুরক্ষা সংস্থা ‘প্রোকোন-এসপি’ প্রায় ১৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে প্রতিষ্ঠানটিকে। তদারকরা জানিয়েছেন, দেশটির ‘কনজিউমার ডিফেন্স কোড’ লঙ্ঘন করেছে অ্যাপল।
ডিসেম্বরেই অ্যাপলকে নিয়ম লঙ্ঘনের ব্যাপারে অবহিত করেছিল প্রোকোন-এসপি। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনে অ্যাপল নিজেদের পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে, “এতে করে কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং পৃথিবী থেকে দুর্লভ উপাদান উত্তোলন কমে আসবে।” এ ছাড়াও অ্যাপল জানায়, অনেকের কাছেই অতিরিক্ত চার্জার রয়েছে।
অ্যাপলের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি প্রোকোন-এসপি। জরিমানা ধরার পাশাপাশি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফার্নান্দো ক্যাপেজ বলেছেন, অ্যাপলকে ব্রাজিলিয়ান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
জরিমানাটি শুধু চার্জারের কারণে করা হয়নি, বিভ্রান্তিকর পানি-নিরোধক দাবি তোলাও েএর মধ্যে ছিল। অভিযোগ উঠেছে, অ্যাপল নিজ ডিভাইসের পানি নিরোধক সক্ষমতার প্রচারণা চালানো স্বত্ত্বেও ওয়ারেন্টির অধীনে পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ আইফোন ঠিক করে দিতে রাজি হয়নি।
অ্যাপল এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ব্রাজিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে আপিল করার সুযোগ থাকছে প্রতিষ্ঠানটির জন্য।
এনগ্যাজেট মন্তব্য করেছে, জরিমানা তুলনামুলকভাবে অল্প এবং অ্যাপলকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে না। এ ছাড়াও ব্রাজিলে আইফোন বিক্রি অব্যাহত রাখতে চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়া অ্যাপলের হাতে তেমন কোনো সুযোগও নেই।
দেশটিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও চাপের মুখে নতি স্বীকার করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং চুক্তি করেছে প্রোকোন-এসপি’র সঙ্গে, নিজেদের গ্যালাক্সি এস২১ প্রি-অর্ডারের সঙ্গে চার্জার ‘উপহার’ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম বড় ফোন বাজার। দেশটিতে নিয়ম অমান্য করলে বড় পরিসরে বিক্রি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।