ক্যাটাগরি

ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের শিশুদের মূলধারায় রাখতে আহ্বান

বিশ্ব
ডাউন সিনড্রোম দিবস উপলক্ষে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ ও ডাউন
সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ওয়েবিনারের এই বিষয়ে আলোচনা
হয়।  

কোভিড-১৯
মহামারীর মধ্যে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের শিশুরা যে অনেকাংশে মূলধারা থেকে পিছিয়ে
পড়ছে, সে বিষয়টি এই আলোচনা থেকে উঠে আসে।  

ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, “ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিরা
সমাজে নিগৃহীত ছিল। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালনের মত সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের
মধ্য দিয়ে এসকল ব্যক্তির অধিকার, সম্মান-মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান দিন দিন
উন্নত হচ্ছে।”

তিনি
বলেন, ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগ নয়, এটি মানবদেহের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য। সঠিক
পরিচর্যা, যত্ন ও শিক্ষার মাধ্যমে এ বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায়
রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবার, শিক্ষক ও চিকিৎসকসহ সমাজের সকলকেই এগিয়ে
আসতে হবে।


বিষয়ে কাজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগে
ক্লিনিক্যাল ল্যাব প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন উপ উপাচার্য।

সামাজিক
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, “ডাউন
সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের শিশুদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়ে কোনো ঘাটতি নেই।
দ্বায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে তাদেরকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে তৈরি করা সম্ভব। … তাই
করুণার দৃষ্টিতে নয়, সমতার ভিত্তিতে তাদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।”

সেজন্য
নানামুখী শিক্ষা,  প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার
পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।

যোগাযোগ
বৈকল্য বিভাগের চেয়ারপার্সন তাওহিদা জাহান বলেন, ডাউন সিনড্রোম বিষয়ে বৈশ্বিক সচেতনতা
ছড়িয়ে পড়ার একটি উপলক্ষ হিসেবে এ দিবস আরও বেশি গুরুত্বের দাবিদার।

“২০২০ সালে নতুন প্রেক্ষাপটে বিকল্প উপায়ে সকলকে সংযুক্ত
থাকতে হয়েছে। কোভিড-১৯ সারা বিশ্বের সকলের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ,
যার ফলে
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের শিশুরা অনেকাংশে মূলধারা থেকে পিছিয়ে পড়েছে।”

ওয়েবিনার
শুরু হয় ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের শিশু রাফান ও প্রত্যাশার নৃত্য পরিবেশনার মধ্য
দিয়ে।

ডাউন
সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার আব্দুর রাজ্জাক,
জাপান
বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সরদার এ নাইম,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক
অধ্যাপক হাকিম আরিফ এবং একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোনিয়া ইসলাম নিশা ওয়েবিনারে
বক্তব্য দেন।