সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড ও বাংলাদেশ। হ্যাগলির ওভালে প্রথম দিন-রাতের ওয়ানডে এটি। বাংলাদেশ সময় খেলা শুরু সকাল ৭টায়।
প্রথম ওয়ানডেতে ১৩১ রানে গুটিয়ে গিয়ে ম্যাচ হারার পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘আমরা এত খারাপ দল নই।’ পরদিন একই কথা বলেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের কণ্ঠেও সেই সুর।
“যে ধরনের উইকেট, ভালো করতে হলে অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। গত ম্যাচে খুবই বাজে ছিল, যদিও কন্ডিশন আমাদের পক্ষে ছিল না। এর আগেও বলা হয়েছে, আমরা এত খারাপ দল না। ক্রাইস্টচার্চ নতুন ভেন্যু, নতুন আরেকটা ম্যাচ। অবশ্যই চাইব, আগের ম্যাচের সবকিছু ভুলে গিয়ে সামনের ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার।”
স্পট বোলিং অনুশীলনে মুস্তাফিজের ইয়র্কার। ছবি: বিসিবি
এই সেরাটা দেওয়ার লড়াইয়ে মূল চ্যালেঞ্জ ব্যাটিংয়ে। মিঠুনের চাওয়া, শুরুতেই যেন ম্যাচ থেকে ছিটকে না যায় দল।
“ব্যাটসম্যানদের আরেকটু দায়িত্বশীল হতে হবে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবার জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। সবসময় একটা জিনিস নিয়ে কথা হয়, এখানে প্রথম ১০ ওভারেই ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বের হয়ে যায়, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। নিউ জিল্যান্ডের উইকেটে সাধারণত হাই-স্কোরিং ম্যাচ হয়। ২৬০-২৭০ না করলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করা কঠিন।”
“উইকেট যেমনই হোক, সেটির সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। ম্যাচ জেতার জন্য যতটুকু করা দরকার এবং বোলাররা যাতে একটু নির্ভার থাকতে পারে, অন্তত এমন একটা টার্গেট দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে।”
উইকেট কেমন হতে পারে, সেটির একটি ধারণাও দিলেন মিঠুন।
“এমনিতে আমরা যেটা জানি, ক্রাইস্টচার্চের উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের অন্যান্য উইকেটের তুলনায় বাউন্সটা তুলনামূলক কম থাকে। তবে পেস থাকে। পেস বেশি থাকলে ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা সুবিধা যে বল ভালো ব্যাটে আসে। আমরা যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি এবং ইতিবাচক থাকি, তাহলে ডানেডিনের পুনরাবৃত্তি হবে না।”
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ ব্যাটিংয়ে ভালো করা। ছবি: বিসিবি
প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউ জিল্যান্ড পাচ্ছে না হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়া রস টেইলরকে। তাতে অবশ্য প্রেক্ষাপট বদলাচ্ছে না। পরিষ্কার ফেভারিট থেকেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করার ম্যাচে নামছে কিউইরা।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিলেও নিউ জিল্যান্ড ভেসে যাচ্ছে না আনন্দে। ওই ম্যাচের ম্যান অব দা ম্যাচ ট্রেন্ট বোল্ট সমীহ করছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে।
“ওদের ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যান যদি দেখেন, দুইশর বেশি ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার আছে কয়েকজন। শতভাগ নিশ্চিত, তারা এখানে নিজেদের মেলে ধরতে চাইবে। স্রেফ কন্ডিশনটা এখানে পুরো আলাদা, দেশে তারা যে কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। তবে তারা অবশ্যই এমন এক প্রতিপক্ষ, যাদের হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।”
“ডানেডিনে আমরা যেমন পারফরম্যান্স করেছি, সেটায় অবশ্যই ফিরে তাকাব। তবে পেছনে দিকে অবশ্যই হাঁটব না এবং আমাদের ওপর দাপট দেখানোর সুযোগ তাদেরকে দেব না।”