সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এর মধ্যে কাবিটায় (কাজের বিনিময়ে
টাকা) প্রথম কিস্তিতে ৩৮০ কোটি ৫১ লাখ ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ২৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকাসহ
মোট ৬৬০ কোটি দুই লাখ টাকা এবং টিআর (টেস্ট রিলিফ) খাতে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে
২৭৮ কোটি টাকা করে মোট ৫৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কাবিটা ও টিআর খাতে প্রথম ও দ্বিতীয়
কিস্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট এক হাজার ২১৬ কোটি দুই লাখ টাকা।
এছাড়া ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে চলমান
কর্মসূচির আওতায় অধিক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ
গ্রহণ করা হয়। এ কারণে এবার প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অতিরিক্ত তৃতীয় কিস্তিতে অর্থ
বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এবার তৃতীয় কিস্তিতে
কাবিটা খাতে ৫৭০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং টিআর খাতে ৪১৭ কোটি টাকাসহ মোট ৯৮৭ কোটি ৭৭ লাখ
টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের
‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে এসব বিশেষ বরাদ্দ দেশের প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার
আওতায় আনতে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার
এবং অবকাঠামো উন্নয়নে এসব অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য,
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার অনুকূলে এসব বরাদ্দ দেওয়া
হয়েছে।
তৃতীয় কিস্তিতে সংসদ সদস্যদের প্রতি
নির্বাচনী এলাকায় কাবিটা খাতে এক কোটি সাত লাখ ৮১ হাজার ২৮৪ টাকা এবং টিআর খাতে ৭৪
লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি সংরক্ষিত মহিলা আসনে
কাবিটা খাতে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং টিআর খাতে ২৫ লাখ দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ
দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
থেকে জানানো হয়, প্রতি উপজেলা পরিষদে কাবিটা খাতে গড়ে ৫২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা এবং
টিআর খাতে ২৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি বিভাগে বরাদ্দ দেয়া হয়
টিআর খাতে ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা করে মোট ছয় কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিটি
জেলায় ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৭ টাকা করে মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৮ টাকা এবং প্রতিটি
পৌরসভায় বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৩৬ টাকা করে।
বরাদ্দ করা অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো
তৈরি হলে তা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে
সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।