সোমবার
সকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এরকম মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,
“উন্নয়নের মাধ্যমে যে লুটপাট তারা করছেন এই
লুটপাটটা যদি করতে না পারতেন তাহলে এই উন্নয়নের জন্য তারা মাথা ব্যথা খারাপ করতেন
না। উন্নয়ন হচ্ছে সরকারের একটি চলমান দায়িত্ব। সব সরকারকেই করতে হবে, এতে বাহবা নেওয়ার
কিছু নাই।
“উন্নয়ন কিন্তু জনগণকে ভিক্ষা দেওয়া না। উন্নয়ন হলো জনগণের অধিকার
জনগণের টাকায়। জনগণের টাকায় তাদের জন্য রাস্তা বানাবেন, খরচ দেখাবেন হাজার কোটি
টাকা। ৮০০ কোটি টাকা পকেটে ভরবেন আর ২০০ কোটি টাকা থাকবে। ৮০০ কোটি টাকার ঋণের
বোঝা বইবে জনগণ।”
পশ্চিমবঙ্গের
বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ
সফরে আসছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে
নির্বাচন চলছে। লোকে বলে, পত্রিকা বলে, গবেষকরা বলে, পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী মতুয়া
সম্প্রদায়ের যারা এখানে ওয়ারিশ আছেন তাদের সাথে মোলাকাত করার জন্য তিনি আসছেন- এটা
একটা নির্বাচনী প্রচার।
“একটি
স্বাধীন সার্বভৌম দেশে নির্বাচনে অনেক দল অংশগ্রহণ করে। আমরা যদি একটি দলকে এই
নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ করে দেই তাহলে কী দাঁড়ায়? কী দাঁড়ায় এটা?”
জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে
আগামী ২৬ মার্চ দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন মোদী।
নয়া পল্টনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অসুস্থ খালেদা জিয়া,
সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিবুন নবী খান সোহেল, খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম,
ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব এই আলোচনা
সভা হয়।
ঢাকা জেলার
সহসভাপতি আজগর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায়
আলোচনা সভায় বিএনপির আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুস সালাম আজাদ,
আমিনুল ইসলাম, আকম মোজাম্মেল, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হকসহ জেলা নেতারা বক্তব্য দেন।