মিথ্যা বলার কারণে নিজের ভেতরে অস্বস্তি
সৃষ্টি হয়। ফলে নানান অসঙ্গতিপূ্র্ণ আচরণ করে থাকে যা তার মিথ্যা বলাকেই নির্দেশ করে।
শিশু-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন
অবলম্বনে শিশুর মিথ্যা কথা চিহ্নিত করার কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জানানো হল।
মিথ্যা বলা শিশুদের স্বভাব বিরুদ্ধ কাজ।
তাই মিথ্যা বলতে যেয়ে তারা নানান অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে।
তোতলানো: সন্তান
যদি স্বাভাবিকভাবে শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে কিন্তু কোনো কথা বলার সময় যদি হঠাৎ তোতলানো
শুরু করে তবে বুঝতে সে মিথ্যা কথা বলছে। মিথ্যা বলার সময় মানুষ নিজে শঙ্কায় থাকে তাই
মিথ্যা কথা বলার সময় মানুষ তোতলায়।
চোখে চোখ রাখায় অসমতা: সাধারণত, মিথ্যা বলার সময় শিশুরা চোখে চোখ রাখার ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ
আচরণ করে থাকে। ছোটরা মিথ্যা বললে চোখে চোখ রাখতে পারে না আর বাড়ন্ত শিশুরা দৃঢ়তার
সঙ্গে চোখে চোখ রেখে মিথ্যা বলে যা তাদের স্বাভাবিক আচরণ থেকে সহজেই আলাদা করা যায়।
পুনরাবৃত্তি:
তোতলামির পাশাপাশি শিশুরা একই কথা অর্থাৎ মিথ্যা কথা বার বার বলার চেষ্টা করে।
অস্বস্তি বা কষ্টভোগ: মিথ্যা বলার কারণে নিজের ভেতরেই অস্বস্তির সৃষ্টি হয় এবং শিশু
অনেক বেশি চঞ্চল আচরণ করে। বলা যায়, অশান্তির কারণে হওয়া চঞ্চলভাব শিশুর মিথ্যা বলার
লক্ষণ।
স্বরের পার্থক্য: শিশু মিথ্যা বলে থাকলে কথা বলার সময় তার গলার স্বর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
উঁচু ও দৃঢ় হতে পারে।
বাচাল ভাব:
শিশু স্বাভাবিকভাবেই বেশি কথা বলায় অভ্যস্ত না হলে যদি সে মিথ্যা বলে তাহলে তার মাঝে
একই কথা বার বার বলা ও নিজেকে নির্দোষ বোঝানোর জন্য বাড়তি কথা বলার প্রবণতা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত আত্মরক্ষার প্রবণতা: শিশু মিথ্যা বলে থাকলে নিজের দোষ ঢাকতে অনেক বেশি ‘আত্মরক্ষামূলক’
আচরণ করে থাকে। এমন আচরণের পাশাপাশি শিশুর মাঝে অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গিও দেখা দিতে পারে।
শিশুর এরকম আচরণ দেখে বকা না দিয়ে তাকে
অভয় দিন। কোনো বিষয় ভুল করে থাকলে তাকে বোঝানোর চেষ্ট করে সত্য কথা বলানোর চেষ্টা করতে
হবে। মন থেকে ভয় দূর করতে পারলে তার ভুলগুলো বোঝাতে পারলেই বরং তার বেড়ে ওঠা সুন্দর
হবে।
আরও পড়ুন
কিশোর বয়সে শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন করতে