ক্যাটাগরি

হোল্ডার-রোচের তোপে বিধ্বস্ত লঙ্কান ব্যাটিং

অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটির প্রথম দিনে রোববার শ্রীলঙ্কা
প্রথম ইনিংসে অল আউট ১৬৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ১৩ রানে।

২৭ রানে হোল্ডারের শিকার ৫ উইকেট। টেস্টে এই স্বাদ পেলেন তিনি অষ্টমবার।

সফলতম বোলার হোল্ডার হলেও সেরা বোলার ছিলেন নিঃসন্দেহে রোচ। দিনজুড়ে দারুণ
বোলিংয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তিতে ফেলে তার শিকার ৩ উইকেট।

লঙ্কানদের হয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমান্নে শুরু থেকে লম্বা সময়
এক প্রান্ত আগলে করেন ৭০ রান। কিপার-ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা সাতে নেমে ৩২। বাকি
৯ ব্যাটসম্যানের কেউ ১৫ রানও ছুঁতে পারেননি।

মজার ব্যাপার হলো, পেসময় দিনের প্রথম উইকেটটি এসেছে স্পিনে! স্যার ভিভ রিচার্ডস
স্টেডিয়ামের উইকেটে সকালে আর্দ্রতা ছিল প্রচুর। নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম
টস জিতে বোলারদের হাতে বল তুলে দেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু নতুন বলে সেই আর্দ্রতা
খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি ক্যারিবিয়ান পেসারা।

সপ্তম ওভারেই তাই বোলিংয়ে আনা হয় রাকিম কর্নওয়ালকে। দুই লঙ্কান ওপেনারই
বাঁহাতি, এটিও হয়তো অফ স্পিন আক্রমণে আনার আরেকটি কারণ। সফলতাও মেলে দ্রুতই।

কর্নওয়ালের বাড়তি বাউন্সে দিমুথ করুনারত্নে সহজ ক্যাচ দেন শর্ট লেগে। ১২
রানে কেমার রোচের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক যোগ করতে পারেন
আর কেবল ১ রান।

দ্বিতীয় উইকেট ধরা দেয় ব্র্যাথওয়েটের অসাধারণ ক্ষীপ্রতায়। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক
দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করেন ওশাদা ফার্নান্দোকে।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কানদের যথেষ্ট ভোগান কেমার রোচ। ছবি : উইন্ডিজ ক্রিকেট।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কানদের যথেষ্ট ভোগান কেমার রোচ। ছবি : উইন্ডিজ ক্রিকেট।

পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে আসা হোল্ডার প্রথম শিকার ধরেন লাঞ্চের ঠিক আগে।
ছোট্ট আউট সুইংয়ে কিপারকে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমাল।লাঞ্চের পর রোচের অসাধারন এক স্পেলের শিকার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও অভিষিক্ত
পাথুম নিসানকা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩ ম্যাচে ১৩ সেঞ্চুরি আর ৬৭ ব্যাটিং গড় নিয়ে
টেস্ট অভিষেকে নিসানকার সংগ্রহ ৯।

থিরিমান্নে ও ডিকভেলার দৃঢ়তায় ওই সেশনে আর কোনো উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা।
ইনিংসের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই দুজন।

চা-বিরতির পর লঙ্কান ব্যাটিং এলোমেলো করে দেন হোল্ডার। দারুণ একটি স্পেলেই
নেন তার শিকার চার উইকেট, যার মধ্যে ছিল থিরিমান্নে-ডিকভেলার উইকেট।  ]

প্রায় ৫ ঘণ্টা লড়াই করে থিরিমান্নের রান ১৮০ বলে ৭০। শ্রীলঙ্কা শেষ ৫ উইকেট
হারায় ১৯ রানের মধ্যে।

দিনের শেষ ঘণ্টায় ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনারও খুব স্বস্তিতে
ব্যাট করতে পারেননি। ১৩ ওভারে দুজন তুলেছেন ১৩ রান। তবে উইকেট না হারানোর স্বস্তি তাদের
সঙ্গী। দিনশেষে তাই হাসিও তাদের চওড়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা : ৬৯.৪
ওভারে ১৬৯ (করুনারত্নে ১২, থিরিমান্নে ৭০, ওশাদা ৪, চান্দিমাল ৪, ধনাঞ্জয়া ১৩, নিসানকা
৯, ডিকভেলা ৩২, লাকমল ৩, চামিরা ২, এম্বুলদেনিয়া ৩, বিশ্ব ১*; রোচ ১৬-২-৪৭-৩, গ্যাব্রিয়েল
৯-২-২২-০, কর্নওয়াল ১৪-৬-২৫-১, জোসেফ ১১-২-৩২-০, হোল্ডার ১৭.৪-৬-২৭-৫, মেয়ার্স ২-০-৬-০)।

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৩
ওভারে ১৩/০ (ব্র্যাথওয়েট ৩*, ক্যাম্পবেল ৭*; লাকমল ৬-১-৭-০, বিশ্ব ৪-৩-২-০, চামিরা
২-১-২-০, এম্বুলদেনিয়া ১-০-১-০)।