ক্যাটাগরি

অর্ধশতকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপাকে অস্ট্রেলিয়া

মঙ্গলবার তারা এ নির্দেশনা দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

দেশটিতে প্রায় অর্ধশতকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যা এরই মধ্যে অসংখ্য বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও গবাদিপশুকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ একটি বাদে মূলভূখণ্ডের সবগুলো রাজ্যে বেশ কয়েকটি আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়ার এ সতর্কতা দেশটির আড়াই কোটি মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশের ওপর প্রভাব ফেলবে।

“বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতি বেশ জটিল, এখনও নিয়মিত পরিবর্তিত হচ্ছে,” সাংবাদিকদের বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা বন্যায় আটকা পড়া কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছেন।

প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে; এদের সঙ্গে আরও প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যুক্ত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলিয়ার জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে আস্ত কয়েকটি সেতু ভেসে যাওয়া, আটকে পড়া প্রাণী ও ডুবে যাওয়া বাড়িঘরের চিত্র দেখা গেছে।

এক ভিডিওতে একটি কনটেইনার ট্রাককে একটি সেতুতে আঘাত করে এর কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেখা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে প্রতিবেশী কুইন্সল্যান্ডে বাড়তে থাকা বন্যার পানিতে গাড়ি ভেসে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে।

সিডনি থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তরে হকসবেরি নদীর তীরে পানিতে ডুবে যাওয়া একটি রেস্তোরাঁর মালিক অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এবিসি) জানান, তিনি নৌকায় করে প্রতিবেশীর এক শিশুকে উদ্ধার করেছেন।

শহরটির পানি সরবরাহের প্রধান উৎস ওয়ারাগামবা বাঁধের পানি শনিবার থেকেই উপচে পড়া শুরু হয়েছে; আরও সপ্তাহখানেক এমনটা চলতে পারে বলেও কর্মকর্তারা ধারণা দিয়েছেন। এক বছর আগে খরা ও দাবানলের কারণে একই বাঁধে পানির পরিমাণ ধারণক্ষমতা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছিল। সেসময় বাঁধটি থেকে পানি ছাড়ার বিষয়ে ব্যাপক বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছিল।

বন্যায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় সিডনির উত্তরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কয়লা রপ্তানি বন্দর নিউক্যাসেলে কয়লা সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বুধবার রাতের দিক থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,   অবিরাম বর্ষণের ফলে নদীর আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি বেড়ে গেলে সেখানকার বাসিন্দারা হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাড়িতে ফিরতে পারবেন না।

আরও পড়ুন:


অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা: প্রায় ১৮ হাজার লোককে সরানো হল