মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের একজন সদস্য হিসেবে প্রতিটি বৈঠকে আমি এগুলো নিয়ে কথা বলেছি।

“মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যারাই আসে তারা শুধু যাচাই-বাছাই করে। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের যাচাই-বাছাই করার দরকার নাই। তারা যেখানে ট্রেনিং করেছে সেখানে সবার নাম আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে।”
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা স্বাধীন হয়েছি ৭ মার্চ। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সাথে সাথে স্বাধীনতার ঘোষণা হয়ে গেছে। ১৯ মিনিটের এই বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে মুছতে চাইলেও মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব। তিনি অমর। বাংলার ইতিহাস লিখতে হলে বঙ্গবন্ধুর কথা লিখতে হবে। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের সম্মান দিতে হবে। কুলাঙ্গাররাও স্বীকার করতে বাধ্য হবে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় সম্পদ।

“মুক্তিযোদ্ধাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তারা চায় সম্মান। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান যাতে যুগযুগ নতুন প্রজন্ম স্মরণ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, “ইতিহাসের পাতায় মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে বিলীন করার চেষ্টা করেছিল খালেদা জিয়া। রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। ১৯৭৫ পর স্বাধীনতা বিরোধীদের জিয়াউর রহমান আশ্রয় দিয়েছিল।

“বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। আমাদের দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ কোটি গৌরবগাঁথা সংরক্ষণ করতে হবে। স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার তৈরি করতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরতে আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে ৩০টি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছি।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল।
জেলা পরিষদ সচিব মো. রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবু মনসুর, যুদ্ধকালীন বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মঈনুদ্দিন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী, মো. ইউনুস প্রমুখ।