মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তার আগে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে শেরিং দর্শকদের বইয়ে স্বাক্ষর এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দর্শকদের বইতে লিখেছেন, “বিদেশি শোষণের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে জনগণকে অভূতপূর্ব শান্তি সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথ করে দেওয়ার জন্য ভুটানের জনগণ এবং রাজ সরকারের পক্ষ থেকে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা জ্ঞাপন করছি।
তার কন্যা শেখ হাসিনা এখন বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন পূরণ করছেন এবং প্রতিটি উত্তীর্ণ বছরে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ ও এর জনগণ আরও সুখি হয়ে উঠছে।”
শেরিং আরও লিখেছেন, “একজন সত্যিকারের নেতা হওয়ায় আপনাকে (বঙ্গবন্ধু) ধন্যবাদ। আমার দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।”
এর আগে সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে তিনদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন লোটে শেরিং।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে অভিবাদন জানানো হয়।