নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্রাইস্টচার্চে
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫৪।
তামিম ব্যাট করছেন ৫৩ বলে ৩৫ রান করে , সৌম্য ৩৩ বলে
১৬।
এর মধ্যেই অবশ্য বিতর্কের খোরাক জোগানোর মতো একটি
ঘটনাও ঘটে গেছে। পঞ্চদশ ওভারে তামিমের ড্রাইভে অনেকটা নিচু হয়ে ফিরতি ক্যাচ নেন ৬ ফুট
৮ ইঞ্চি উচ্চতার বোলার কাইল জেমিসন। বোলারসহ কিউই ফিল্ডাররা উল্লাসে মাতেন। কিন্তু
ক্যাচ নিয়ে সংশয়ে সিদ্ধান্ত যায় টিভি আম্পায়ারের কাছে। মাঠের আম্পায়ারের সফট সিগনাল
ছিল ‘আউট।’
টিভি আম্পায়ার বারবার রিপ্লে দেখে রায় দেন, এক হাতে
ক্যাচ নেওয়ার পর একদম শেষ মুহূর্তে বল পুরো নিয়ন্ত্রণে ছিল না জেমিসনের, বল খানিকটা
স্পর্শ করে মাটিতে। মাঠের বড় পর্দায় ‘নট আউট’ সিদ্ধান্ত দেখে হতাশার ভঙ্গি করেন জেমিসন।
আগের ম্যাচের মতোই টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
হ্যাগলি ওভালে দিবা-রাত্রির ম্যাচ শুরু রোদ ঝলমলে দুপুরে, উইকেটে তাই নেই তেমন আর্দ্রতা।
ঘাসের ছোঁয়াও নেই। বেশ ব্যাটিং সহায়ক উইকেট।
লিটন পারেননি এই উইকেটেও নিজেকে খুঁজে পেতে। ব্যাটিং
ক্রিজের বেশ বাইরে স্টান্স নেওয়া ব্যাটসম্যান পুল করেন ম্যাচ হেনরির শর্ট বলে। তবে
না পারেন তিনি অনেক উঁচিয়ে মারতে, না পারেন নিচে রাখতে। বল যায় সরাসরি স্কয়ার লেগে
ফিল্ডার উইল ইয়াংয়ের হাতে। চার বলে শূন্য রানেই শেষ লিটন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ৩ ম্যাচের পর এই সিরিজের ২
ম্যাচ, এই ৫ ইনিংস মিলিয়ে লিটনের রান ৫৫। শূন্য দুটিতে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪১ ইনিংসে
তার ষষ্ঠ শূন্য।
তামিম শুরু করেন প্রথম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টকে আত্মবিশ্বাসী
এক ফ্লিকে চার মেরে। তবে লিটনের বিদায়ের পর সাবধানী হয়ে ওঠেন কিছুটা। তিনে নেমে সৌম্য
সরকার ব্যাটে-বলে করতেই ধুঁকতে থাকেন শুরুতে। বেশ কয়েকবার অল্পের জন্য তার ব্যাটের
কানা নেয়নি বল।
৭ ওভার শেষে দলের রান ছিল ১ উইকেটে ১৪।
অষ্টম ওভারে হেনরিকে দারুণ তিনটি বাউন্ডারিতে রানের
গতি কিছুটা বাড়ান তামিম। প্রথমটি ফ্লিক করে, পরের পুল শটে, শেষটি নান্দনিক স্কয়ার ড্রাইভে।
১০ ওভার শেষে সৌম্যর রান ছিল ২১ বলে ২। একাদশ ওভারে
কাইল জেমিসনকে অফ ড্রাইভে প্রথম বাউন্ডারি পান তিনি। পুরো ছন্দ না পেলেও এরপর কিছুটা
সাবলীল হতে শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। জিমি নিশামকে বাউন্ডারি মারেন পুল করে।
তবে ক্যাচ মতো দিয়ে রক্ষাও পান তিনি একবার। ১৫তম ওভারে
জেমিসনের বলে তার ফ্লিকে দুর্দান্ত ফুল লেংথ ডাইভে এক হাতে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন
হেনরি নিকোলস। তবে বলে হাত ছোঁয়ালোও শেষ পর্যন্ত তালবন্দী করে রাখতে পারেননি।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আছে একটি। চোট
পাওয়া তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের জায়গায় একাদশে এসেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
নিউ জিল্যান্ড খেলছে একই একাদশ নিয়ে।