কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরের জন্য এই
লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
আগামী ১৯ মে সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড
ডেট ঠিক হয়েছে ১৩ এপ্রিল।
সেখানে অনুমোদন পেলে সিটি ব্যাংকের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে
বিনিয়োগকারীরা ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে পাবেন এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি করে শেয়ার পাবেন।
লভ্যাংশের খবরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে সিটি
ব্যাংকের শেয়ার ২৫ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল; মঙ্গলবার তা বেড়ে ২৬ টাকা ৩০ পয়সা
হয়েছে।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২০ অর্থ বছরে সিটি ব্যাংক শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ৪ টাকা ২৯ পয়সা। তাদের
শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ২৯ টাকা শূন্য ৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে
৪ টাকা ৯০ পয়সা।
আগের বছর এই সময় তাদের শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ২ টাকা ৫৯ পয়সা। শেয়ার প্রতি
সম্পদ মূল্য ছিল ২৪ টাকা ১৪ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা।
২০১৭ অর্থবছরে সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছিল ৩৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লভ্যাংশ
দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯০ পয়সা নগদ এবং প্রতি ১০০টি শেয়ারে নতুন ৫টি শেয়ার।
২০১৮ অর্থবছরে ২২২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মুনাফা করে সিটি ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের
প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ৫টি শেয়ার লভ্যাংশ দেয় এবং প্রতি শেয়ারে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ
দেয়।
আর ২০১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানি ২৬৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১০১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬১টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৩২
দশমিক ৮৮ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
সিটি ব্যাংকের বর্তমান বাজার মূলধন ২ হাজার ৬১২ কোটি ১১ লাখ টাকা। কোম্পানির
পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা;
রিজার্ভের
পরিমাণ ১ হাজার ২৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।