মঙ্গলবার খুলনার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মো. রায়হান সরদার (বর্তমান বয়স ৩৭) যশোরের চাঁচড়া এলাকার প্রয়াত হাকিম সরদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়হান সরদারকে একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে, যা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এনামুল হক জানান, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর একটি লঞ্চ খুলনার কয়রা উপজেলার ভাণ্ডারপোল এলাকায় পৌঁছায়। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নামতে শুরু করলে দুই যাত্রী তাদের টিকিট দেখাতে পারেননি।
“এই নিয়ে ওই লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলীর সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এই সময় যাত্রী রায়হান পকেট থেকে ছুরি বের করে আইয়ুব আলীর পেটে আঘাত করেন।”
পিপি এনামুল বলেন, আইয়ুব আলীকে প্রথমে জায়গীরমহল হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়; সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই সময় আরেক যাত্রীও (বর্তমান বয়স ১৭ বছর) হামলায় অংশ নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ওই সময় সেখানে উপস্থিত জনতা তাদের দুজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আইনজীবী এনামুল জানান, এই ঘটনার পরদিন লঞ্চ মাস্টার মো. আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের ৩০ নভেম্বর রায়হান সরদারকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
এনামুল আরও জানান, মামলার অপর আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচারকার্য চলছে।
