তেইশ বছর সংগ্রামের পর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সোনার বাংলা স্বাধীন হয়, জাতির পিতার হাত ধরে নিজের জন্মভূমিকে নিজের ‘দেশ’ বলার অধিকার পায় এ ভূখণ্ডের মানুষ।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের ষষ্ঠ দিন সোমবার নিজের মাটির অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই স্মৃতিরই উদযাপন করল বাংলাদেশ।
এদিনের অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। এই থিমের ওপর আলোচনায় অংশ নেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। আর সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনায় সেলিনা হোসেন বলেন, বিশ্বে আজ অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে পরিচয় দাঁড়িয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই তার গোড়াপত্তন করেছিলেন।
“বঙ্গবন্ধুর ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’ চিন্তা তার জীবনের মৌলিক সত্যের দর্শন। এই শব্দটিকে তিনি নিরন্তর সাধনায় সমৃদ্ধ করেছেন। এটা কোনো স্লোগান ছিল না। তিনি গভীর বিশ্বাসে নিজের জাতিসত্ত্বাকে ধারণ করে এই কথাটি বলেছেন।”
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরলেন, তখন তিনি এক ভাষণে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “আজ আমি বলতে পারি, আমি বাঙালি, আজ আমি বলতে পারি বাঙালি একটি জাতি, আজ আমি বলতে পারি, বাংলার মাটি আমার মাটি। এর বেশি তো আমি চাই নাই।”

সেলিনা হোসেন বলেন, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তিনি মানতে পারেননি। এমনকি তিনি পূর্ব পাকিস্তান নামটি মানতে পারেননি। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের অংশ হওয়ায় ইতিহাসের বঙ্গের পূর্বাঞ্চল পূর্ব পাকিস্তান হয়। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে পূর্ব বাংলা বলার পক্ষে সরব ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের রাজনৈতিক দর্শন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লেখক সেলিনা জাতির পিতার এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “এই রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ থাকবে না। এই রাষ্ট্র মানুষেরই হবে, তাদের মূলমন্ত্র হবে সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই। বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নাই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বাংলাদেশে যারা বসবাস করেন, তারা সকলেই এদেশের নাগরিক। সকল ক্ষেত্রে তারা সম অধিকার ভোগ করবেন।”
পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে দেওয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গও টানেন সেলিনা।
“১৯৫৫ সালের ২৫ অগাস্ট তিনি পরিষদের বক্তব্যে বলেন, স্পিকার মহোদয়, সরকার পূর্ব বাংলার নাম বদল করেছে, রেখেছে পূর্ব পাকিস্তান। ‘বাংলা’ নামটি ব্যবহার করার জন্য আমরা দাবি জানাই। বাংলা নামের ইতিহাস আছে, তার ঐতিহ্য আছে। এই নাম পরিবর্তন করতে হলে বাংলার মানুষকে জিজ্ঞেস করতে হবে, নাম বদল করতে তারা রাজি আছে কিনা।“
সেলিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মাটিকে দেখেছেন দেশপ্রেমের আলোকে। দেখেছেন গণমানুষের মানবিক মর্যাদার উজ্জ্বলতায়। বাংলার মাটি তাকে রাজনীতির ধ্রুবতারায় পরিণত করেছে।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে সেলিনা বলেন, “জেলখানায় আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। মুসলমান একবার মরে, দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম আমার মৃত্যু আইসে থাকে যদি, আমি হাসতে হাসতে যাব। আমার বাঙালি জাতিকে অপমান করা যাবে না। তোমাদের কাছে ক্ষমতা চাইব না এবং যাবার সময় বলে যাব। জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটিই আমার স্থান।”
দিনের অনুষ্ঠানের শিরোনাম ব্যাখ্যা করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার পতাকা আজ দুনিয়ার আকাশে ওড়ে। আমার দেশ বাংলাদেশ আজ দুনিয়ার মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। আজ আমি বলতে পারি আমি বাঙালি, আজ আমি বলতে পারি বাঙালি একটি জাতি, আজ আমি বলতে পারি, বাংলার মাটি আমার মাটি।”
শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “তিতুমীর, হাজী শরিয়ত, নুরলদিন, প্রীতিলতা, রফিক-বরকতসহ ৩০ লাখ শহীদ মিশে আছেন যে মাটিতে সেই বাংলার মাটিকে, নদীকে আর মানুষকে বড় ভালোবেসেছিলেন মুজিব। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন করেছিলেন জাতিকে। ঘাতকেরা তাকে কেড়ে নিলেও আজও তার দেখানো পথে আমাদের পথচলা। তিনি আজও নিরন্তর প্রেরণার উৎস।”

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। ছবি: প্রেস উইং,বঙ্গভবন
দক্ষিণ এশিয়ায় পূজনীয় বঙ্গবন্ধু
নেতৃত্ব গুণে বাঙালির ‘হৃদয় জয়’ করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কাছেও ’পূজনীয়’ নেতা হিসাবে বিবেচিত বলে মন্তব্য করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেন, “অনলবর্ষী বক্তা, সংগঠক ও যোদ্ধা হিসাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন এবং অর্জন করেছিলেন নতুন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য। এ অঞ্চলের মানুষের কাছেও তিনি পূজনীয় নেতা।”
“বঙ্গবন্ধুর অবিরাম সংগ্রাম বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যার জন্য অবিচল নেতৃত্ব ও নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা ছিল তার। সেজন্য তাকে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিল সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, যা গোটা জাতি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিয়েছিল। বাংলা ভাষার জন্য গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল বঙ্গবন্ধুর। এ কারণে জনগণকে নিয়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা ও প্রসারে অগ্রগামী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। নিপীড়িত, বঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের জন্য গভীর সহমর্মিতা ছিল তার,” বলেন এই বিদেশি অতিথি।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: প্রেস উইং,বঙ্গভবন
বঙ্গবন্ধুকে নিপীড়িত মানুষের ‘মুক্তির আলোকবর্তিকা’ হিসাবে বর্ণনা করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিনই তিনি সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতিতে ‘নতুন অধ্যায়’আনার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অন্তরালের বঙ্গবন্ধু আরো বেশি শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।”

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীকে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকায় সভাপতির বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “তার উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানের মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। আমরা নিজেরা সম্মানিত হয়েছি। গতবছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিনি সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি। ”
নেপালকে বাংলাদেশের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নানাভাবে সহায়তা করার পাশপাশি মুক্তিযুদ্ধে নেপালের জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছে। যেসব দেশ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে সবার আগে স্বীকৃতি দিয়েছিল, নেপাল তাদের অন্যতম। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে নেপাল বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সন্ধ্যায় দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ’বাংলার মাটি আমার মাটি’ থিমের আয়োজনের শুরুতে ছিল ’বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য’ শিরোনামে শত যন্ত্রসংগীত শিল্পীর অর্কেস্ট্রা।
এরপর পরিবেশনা নিয়ে আসেন হিমালয়ের দেশ নেপালের শিল্পীরা। নিজেদের সংস্কৃতির মিশেলে বাংলাদেশের সংস্কৃতিও তুলে ধরেন তারা।
পরিবেশনার শুরুতে ছিল পূর্ব নেপালের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জনপ্রিয় ‘সাকেলা ড্যানস’। এরপর ইনস্টুমেন্টাল লোকসংগীতের মাধ্যমে স্থানীয় বাঁশুরি আর মাদলের মত যন্ত্রের পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন চার শিল্পী।

সবশেষে পাহাড়-নদীর দেশ নেপালের সব প্রান্তের মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরে পরিবেশিত হয় নৃত্য; যার একটি অংশে ছিল ’আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’ গানের তালে নাচ।
নৃত্যের তালে নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী তুলে ধরতে দুই দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয় পরিবেশনা।
এরপর ‘হাজার বছর ধরে’ শিরোনামে কাব্য গীতি ও নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে অভিনয় শিল্পী সংঘ। তারপর পরিবেশিত হয় যাত্রাপাল ‘মা, মাটি ও মানুষ’।
সাংস্কৃতিক আয়োজনে ’সবার উপরে মানুষ সত্য’ শিরোনামে শত লোকশিল্পীর পরিবেশনার পর ছিল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনা ‘বাংলার বর্ণিল সংস্কৃতি’।
বঙ্গবন্ধুর প্রিয় গান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের পাশাপাশি কোরিওগ্রাফিতে তুলে ধরে ধরা হয় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার চিত্র।
সবশেষে ‘বাংলার ষড়ঋতু’ গীতি-নৃত্যালেখ্যে পরিবেশন করা হয় ’মনেরো রং লেগেছে বনের পলাশ জবা অশোকে’।
অনুষ্ঠানের গানে কণ্ঠ মেলানোর পাশাপাশি বিদায় বেলায় শিল্পীদের দিকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

সপ্তম দিনের প্রতিপাদ্য ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সপ্তম দিন মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’ থিম ধরে।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান টেলিভিশন, বেতার, অনলাইন ও স্যোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
প্রথম পর্বে বিকাল ৫টা ১৫মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান চলবে। মাঝে আধাঘণ্টার বিরতি দিয়ে সাড়ে ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাশাপাশি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হবেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বন্ধুরাষ্ট্র সুইজারল্যান্ডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ধারণ করা ভিডিও প্রচার করা হবে।
‘মুজিব চিরন্তর’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল এ্যানিমেশন ভিডিও, থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি, নারী ও বাংলাদেশ নিয়ে কালজয়ী কিছু গান, ‘অনন্যা অপরাজিতা’ শীর্ষক থিম্যাটিক কোরিওগ্রাফি, গাহি সাম্যের গান শীর্ষক কয়েকটি গান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের গান ও কোরিওগ্রাফি এবং বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।