তিনি ধানমণ্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ মার্চ থেকে এইচডিওতে চিকিৎসাধীন আছেন বলে হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জনি জানান।
স্বাধীনতা যুদ্ধের এই কণ্ঠযোদ্ধার বোন কবিতা ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৫ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; এর আগে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর দুই হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়েছেন নমিতা ঘোষ।
ক্যান্সার থেকে সেরে উঠা নমিতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ফুসফুস ও কিডনির গুরুত্বর জটিলতায় ভুগছেন বলে চিকিৎসকের বরাতে জানান কবিতা।
১২ মার্চ বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন নমিতা ঘোষ। তার দুই দিনের ব্যবধানে জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হলে আজগর আলী হাসপাতাল ও মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে প্রথম নারী শিল্পী হিসেবে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেছেন নমিতা ঘোষ।
নমিতার মা জসোদা ঘোষ সে সময় রেডিওতে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করতেন। ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৭ মার্চ বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে কেরাণীগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা দিয়ে আখাউড়া সীমান্ত পার হন তারা।
নরসিঙ্গরে শিল্পী আব্দুল জব্বার ও আপেল মাহমুদের সঙ্গে দেখা হয় নমিতার। তখন সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে গান গেয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল।
আগরতলায় থাকতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রের কাজে যুক্ত হন নমিতা। পরে সেই প্রামাণ্যচিত্র যুদ্ধের সময় ভারতের বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো হয়।
মে মাসে মায়ের সঙ্গে আগরতলা থেকে বিমানে করে কলকাতায় পৌঁছান নমিতা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম প্রেস সচিব, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমিনুল হক বাদশার উৎসাহে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে।