দুই উদযাপনে ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের
অষ্টম দিন বুধবার তিনি বলেন, “ইন্দিরা গান্ধীর পাশে থেকে ১৯৭১ সালে রূপান্তরের সেসব
ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহ ও মাসের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শেখ হাসিনা ও তার দেশের মানুষের
গর্বের অংশীদার হতে পেরে আমি আনন্দিত।”
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, “পঞ্চাশ
বছর আগে সম্পূর্ণ ভাগ্যলিপি রচনা করেছিল বাংলাদেশের সাহসী মানুষ, যার মাধ্যমে পুরো
উপমহাদেশের ইতিহাস ও মানচিত্র বদলে যায়।
“গত পাঁচ দশকে সামাজিক উন্নয়ন,
জনগণের অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। অন্যান্য
ক্ষেত্রে অগ্রগতিও অভাবনীয়, যা বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে।”
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের
‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে মন্তব্য করে সোনিয়া বলেন, “এর অন্যতম কারণ ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক
ঘটনাপ্রবাহে ইন্দিরা গান্ধী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
“এর ফলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর গভীর বন্ধন তৈরি হয়েছিল, যার ভিত্তি ছিল পারস্পরিক মর্যাদা, সম্মান
ও বন্ধুত্ব।”
সোনিয়া গান্ধী বলেন, “১৯৭১ সাল
বাংলাদেশের মতো ভারতের জন্যও ছিল বেশ রূপান্তরের সময়। ওই বছর রাজনীতিক ও রাষ্ট্র নেতা
হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীর বিশালত্ব প্রকাশ ঘটেছিল এবং পরবর্তীতে স্বাধীন জনগণের নেতা
হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হলেন শেখ মুজিবুর রহমান।”
তিনি বলেন, “আমাদের উভয় দেশ অর্থনৈতিক,
রাজনৈতিক ও পরিবেশগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। এর মধ্যেও মিশ্র ঐতিহ্য ও উদার
বহুত্ববাদের কারণে বৈচিত্র্যের উদযাপনের কেন্দ্রে রয়েছে দুই দেশ।”