সুনামগঞ্জের শাল্লায়
সাম্প্রদায়িক হামলার তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স
পার্টি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আয়োজনে নগরীর চেরাগী
পাহাড় মোড়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে ধর্ম নিরপেক্ষতার
প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স
পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, “আজ আমরা স্বাধীনতার
সুর্বণজয়ন্তী পালন করছি। এই ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে নানাভাবে রাষ্ট্রীয়
পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশকে আজ স্বাধীনতার পূর্বের অবস্থায়
ফিরিয়ে নিতে চায়।
“শাল্লায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির
আশ্বাসের পরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে কিভাবে হামলা হল? কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা হল? ৭১
এ তাদের পরাজিত করেছি আমরা। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আজও আমাদের লড়াই করতে
হচ্ছে। তারা বারবার ফনা তুলছে।”
শরীফ চৌহান বলেন, “যার
বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস সে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ফেলে দিতে চেয়েছিল। সে ব্যক্তি
নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই মামুনুল
হক গংরা বাংলাদেশের বিরোধীতা করে কোন শক্তির বলে? দুধকলা দিয়ে যে সাপ পুষছেন রাষ্ট্র
ক্ষমতায় থাকার জন্য, তারা একদিন এমন দংশন করবে সে বিষ আর ছাড়াতে পারবেন না।
“বাংলাদেশের যে অসাম্প্রদায়িক
চেতনা তা অটুট রেখে দেশ গড়তে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শক্তিকে অন্তত
একটি প্রশ্নে- মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। আজ যারা ক্ষতিগ্রস্ত
শুধু তারা নয়, ভবিষ্যতে সবাই ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে
দেশ পরিচালনা করতে হবে। সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা উপড়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।”
শরীফ চৌহান বলেন, “জাতির
জনকের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হচ্ছে। এর চেয়ে বড় অর্জন আর কি হতে পারে?
তাহলে কেন তাদের সাথে আপস?
“তাদের সাথে আপস করে
পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হয়েছে, কেন? তারা তো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। কখনও খেটে খাওয়া মানুষের
দাবি নিয়ে কথা বলেনি। তাহলে কেন তাদের কথা শুনতে হবে? জামায়াতে ইসলামের নতুন সংস্করণ
হেফাজতের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দাবি তুলতে হবে সকল ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনের
কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে।”
ওয়ার্কার্স পার্টি
জেলা কমিটির সদস্য সুপায়ন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর
সদস্য মোক্তার আহমেদ, যুব মৈত্রীর সহসভাপতি মো. মহসীন, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরামে
সহসাংগঠনিক সম্পাদক এলিন চাকমা, ছাত্র মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন
জেলা কমিটির সদস্য শামসুল আলম, অধ্যাপক শান্তপদ বড়ুয়া মনু প্রমুখ।