ক্যাটাগরি

ওশাদা-থিরিমান্নের ব্যাটে লঙ্কান প্রতিরোধ

অ্যান্টিগার টেস্টের
প্রথম দুই দিন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তৃতীয় দিনটি শুধুই শ্রীলঙ্কার। সকালে ক্যারিবিয়ানদের
শেষ দুই উইকেট তারা তুলে নেয় দ্রুত। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দিনশেষে লঙ্কানদের রান ৪ উইকেটে
২৫৫।

প্রথম ইনিংসে ১০২ রানে
পিছিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে ১৫৩ রানে।

দারুণ ব্যাটিং করেও
৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েন ওশাদা। প্রথম ইনিংসে ৭০ রানের ইনিংসের
পর থিরিমান্নে এবার করেন ৭৬। ৩৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম টানা দুই ইনিংসে ফিফটি
করতে পারলেন তিনি।

৮ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে
মঙ্গলবার দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যোগ করতে পারে আর কেবল তিন রান। ৬০ রানে অপরাজিত
রাকিম কর্নওয়াল বিদায় নেন ৬১ রানে।

কর্নওয়াল ও শেষ ব্যাটসম্যান
শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে এক ওভারেই ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ান ইনিংস শেষ করেন বাঁহাতি পেসার বিশ্ব
ফার্নান্দো।

শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয়
ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। কেমার রোচের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে
৩ রানে ক্যাচ দেন স্লিপে।

ওশাদা শুরুতে অস্বস্তিতে
ভোগেন কিছুটা সময়। ব্যাটের কানায় লেগে বল অল্পের জন্য স্লিপ ফিল্ডারের হাতে যায়নি দুই-তিনবার।
১৬ রানে জীবন পান কর্নওয়ার্লের বলে। বাড়তি বাউন্স করা বল তার গ্লাভসে ছোবল দেয়, লেগ
স্লিপে বল হাতে জমাতে পারেননি জেসন হোল্ডার।

তবে জমে যাওয়ার পর ওশাদা
খেলেন দারুণ। পায়ের কাজ ছিল তার দুর্দান্ত। কর্নওয়ালের স্পিনে পায়ের ব্যবহার করেন চমৎকার,
সুইপ-রিভার্স সুইপও কাজে লাগান। পেস বোলিং খেলায় তার ক্রিজের ব্যবহারও ছিল দেখার মতো।
থিরিমান্নে নিজের সীমাবদ্ধতায় থেকে আগলে রাখেন আরেক প্রান্ত।

স্যার ভিভ রিচার্ডস
স্টেডিয়ামের উইকেটে এ দিন সুইং মিলেছে প্রথম দুই দিনের চেয়ে অনেক কম। ক্যারিবিয়ানরা
পেসাররা মনোযোগ দিয়েছেন লাইন-লেংথে। অফ স্পিনার কর্নওয়াল টার্ন কিছুটা পেলেও তা ছিল
মন্থর টার্ন। লঙ্কানদের খুব ঝামেলায় ফেলেনি তা।

ওশাদা ও থিরিমান্নের
জুটি উইকেটে কাটিয়ে দেয় ৫০ ওভারের বেশি। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট পড়েনি। ১৬২ রানের
এই জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন কাইল মেয়ার্স। সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই
নেন উইকেট।

ওশাদার দ্বিতীয় টেস্ট
সেঞ্চুরি যখন মনে হচ্ছে কেবল সময়ের ব্যাপার, তাকে ফিরিয়ে মেয়ার্স পান প্রথম টেস্ট উইকেটের
স্বাদ। অফ স্টাম্প ঘেঁষা ছোট্ট আউটসুইঙ্গারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওশাদা। থেমে
যায় ১১ চারে ১৪৯ বলে ৯১ রানের ইনিংস।

জেন্টল মিডিয়াম পেসে
মেয়ার্স পরের ওভারেও পান উইকেট। এবার আরেকটি আউটসুইঙ্গারে শিকার অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমাল।

একটু পর শেষ হয় থিরিমান্নের
প্রতিরোধও। ২০১ বলে মাত্র ৪ চারে ৭৬ রান করা ব্যাটসম্যানের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে
বেল উড়িয়ে দেন রোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ম্যাচে ফেরে শক্তভাবেই।

কিন্তু ধনাঞ্জয়া ডি
সিলভা ও পাথুম নিসানকার জুটিতে আবার নিয়ন্ত্রণ নেয় শ্রীলঙ্কায়। দুই হাজার টেস্ট রানের
মাইলফলক ছুঁয়ে ধনাঞ্জয়া দিন শেষে অপরাজিত ৪৬ রানে। অভিষিক্ত নিসানকা খেলছেন ২২ রানে।
দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৬৬।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ১৬৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ২৭১

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : ৮৬ ওভারে ২৫৫/৪ (থিরিমান্নে ৭৬, করুনারত্নে ৩, ওশাদা
৯১, চান্দিমাল ৪, ধনাঞ্জয়া ৪৬, নিসানকা ২১; রোচ ১৩-২-২৮-২, গ্যাব্রিয়েল ১১-২-৩০-০,
হোল্ডার ১৪-৪-২২-০, জোসেফ ১২-২-৪৬-০, কর্নওয়াল ২৫-৩-৮৫-০, ব্র্যাথওয়েট ৭-১-২৪-০, মেয়ার্স
৪-১-১০-২)।