এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক
জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই তাদের পক্ষ থেকে জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যারা
সেইফ শেল্টারে অবস্থানরত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে
২৩৩ জন আহতকে প্রাথমিক ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর
একটি অংশ আশ্রয় নিয়েছে বালুখালী কাশেমিয়া হাই স্কুল মাঠে। তাদের মধ্যে ব্র্যাক প্রতিনিধিরা
ইতিমধ্যে ৫৯৫ কেজি ফর্টিফায়েড বিস্কুট এবং ৮ হাজার লিটার খাবার পানি বিতরণ করেছে। এছাড়া
দুপুর ও রাতে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
জরুরি পানির প্রয়োজন মেটাতে
ব্র্যাক এর পক্ষ থেকে অক্সফামকে ৫৫০০টি জেরিক্যান দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৮০০টি ক্যান
বিতরণের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং
বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে
জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তবে সরকারের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন
কমিশনারের কার্যালয় ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে
ব্র্যাক বলছে, অগ্নিকাণ্ডের আগে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাস করছিলেন সোয়া
১ লাখের বেশি মানুষ। তাদের প্রায় সবাই এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে
এখন পর্যন্ত ৯৭৭টি ত্রিপল বিতরণ করা হয়েছে ও জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আরও এক হাজার ত্রিপল
মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক।
ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা
কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান বলেন, “এটি একটি ভয়াবহ দুর্যোগ। আমরা আশা করছি, সরকারের
পাশাপাশি ব্র্যাকসহ অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা
পরিবারগুলো দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।”