বুধবার
দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে
জেলা প্রশাসকের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
এ সময়
এক সামবেশে বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে ১২০টি হরিজন সম্প্রদায়সহ ৮৪০টি
হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে। যারা অফিস-আদালতসহ শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত। এছাড়াও
গৃহহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো ঠাঁই নিয়েছে সরকারি জায়গায়।
“প্রধানমন্ত্রী
যখন প্রতিটি মানুষের জন্য বাসগৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন, তখন
আমাদেরকে পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত দলিত সম্প্রদায়কে পথে বসানোর সামিল।”
মানববন্ধনে
বক্তব্য দেন স্বপন বাঁশফোড়, জয় বাঁশফোড়, রতন কুমার রায়, হবিবর রহমান, মিলন মিয়া,
ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন প্রমুখ।
জেলা
শহরে গণপূর্ত বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৯৬০টি পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করে
আসছে। এরমধ্যে এলজিইডি ও মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১২০টি
পরিবার, বাসস্ট্যান্ডে ছয়ানি পাড়ায় ১২০টি, ডাকবাংলা পাড়ায় ২৪৫টি, পাওয়ারহাউজ পাড়ায়
২৫৫টি এবং কলেজমোড় এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবার বসবাস করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, একটি
চক্র এদের জায়গার দখল দিয়ে অবৈধভাবে ভাড়া তুলে আসছে।
এ নিয়ে
দলিত সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য জানান, হরিজন ও রবিদাস
সম্প্রদায় মহামারীর মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
“তাদেরকে
পুনর্বাসন না করে পথে ঠেলে দেওয়া অমানবিক এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
এ
ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, সরকারি বিধি মেনে অবৈধ জায়গা
উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
“অনেকের
সামর্থ আছে কিন্তু তারা সরছেন না। যারা অস্বচ্ছল তাদের বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখা
হবে।”