শ্যামলীর বাসিন্দা জান্নাত চামেলী বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আবারও গ্যাস নেই। এভাবে প্রতিদিন অঘোষিত ভোগান্তি চলছে।”
পশ্চিম ধানমণ্ডির জাফরাবাদের বাসিন্দা নেছার উদ্দিন বলেন, “গতকাল রাত ৯টার পর একটু গ্যাস এসেছিল। আমরা ভাবছিলাম সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। কিন্তু সকাল বেলা রান্না ঘরে গিয়ে দেখি গ্যাস জিরো।”
তাদের ভবনের কেউ কেউ হোটেল থেকে সকালের নাস্তা সেরেছেন। কেউ আবার বৈদ্যুতিক চুলায় বসিয়েছেন রান্না।
লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্যাস নেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে। বুধবারও খাবারের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
মঙ্গলবার মিরপুরের কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সঙ্কট দেখা দিলেও বুধবার চালিয়ে নেওয়ার মতো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলে একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন।
মিরপুর ষাটফিট সড়কে পীরেরবাগ ও মোল্লাপাড়া। দুটি এলাকায় গতকাল গ্যাস ছিল না। বুধবার পীরেরবাগের কিছু এলাকা গ্যাস পেলেও মোল্লাপাড়ায় নেই।
মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা নারগিস আক্তার বলেন, গ্যাসের অভাবে দুই দিন ধরে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে তাদের। তীব্র গরমের মধ্যে ওই এলাকার হোটেলগুলো গতকালও ভিড় লেগে গিয়েছিল। আজও ভিড় অতিক্রম করেই খাবার সংগ্রহ করতে হবে বলে আশঙ্কা তার।
“আমাদের পাশের এলাকায় কিছু কিছু বাসায় মাঝারি চাপে গ্যাস আসছে বলে শুনতে পেয়েছি।”
ঢাকার আমিনবাজারে গ্যাসের পাইপলাইনের ছিদ্র ২৪ ঘণ্টায়ও মেরামত করতে পারেনি তিতাস। বুধবারও গ্যাস না পেয়ে মাটির চুলায় রান্না করছেন মিরপুরের পাইকপাড়ার বাসিন্দারা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
তিতাসের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মির্জা মাহবুব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমিনবাজারের একটি লাইন বন্ধ থাকলেও বিকল্প লাইন দিয়ে বেশি পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“যেই এলাকায় লাইনে ছিদ্র হয়েছে সেখানে নির্মাণাধীন রাস্তার কিছু মাটি ধসে পড়েছে। পানি, কাদামাটি একাকার হয়ে যাওয়ায় মেরামতে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। শুকনো জায়গা হলে ৩/৪ ঘণ্টার কাজ ছিল। এখন মাটি ধসে গিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। আমাদের নিজস্ব কর্মী ও কিছু ঠিকা কর্মী দিয়ে দিনরাত মেরামত কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
তবে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি কখন নাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।