বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে পাঁচবারের
বর্ষসেরা ফুটবলার নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিতে প্রস্তুত বলেও বিশ্বাস কোচের।
২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম
ম্যাচে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে দুইটায় সফরকারী আজারবাইজানের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার আগে সবশেষ ম্যাচের
স্মৃতিটা সুখকর নয় রোনালদোর। লিগ ম্যাচে গত রোববার ঘরের মাঠে দুর্বল বেনেভেন্তোর বিপক্ষে
১-০ গোলে হারে ইউভেন্তুস। ওই ম্যাচে দলের পাশাপাশি রোনালদোর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স
ছিল সাদামাটা।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোয় পোর্তোর
মাঠে হারের পর ফিরতি লেগে জিতলেও অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে ছিটকে পড়ে ইউভেন্তুস। ঘরের মাঠে
ওই ম্যাচেও রোনালদো ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। দলটির ছিটকে পড়ায় তাই অনেকে তার দিকে তুলছেন
অভিযোগের আঙুল।
তবে জাতীয় দলে রোনালদোকে স্বরূপে পাওয়া
যাবে বলে সান্তোসের বিশ্বাস।
“জাতীয় দলে ক্রিস্তিয়ানো সবসময়ই একই লক্ষ্য,
আবেগ ও ইচ্ছাশক্তি নিয়ে আসে।”
“জাতীয় দলে সে সবসময় শতভাগ নিংড়ে দেয়…মানসিকভাবে এই মুহুর্তে সে কোনোরকম
সমস্যায় আছে বলে আমি মনে করি না।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ইউভেন্তুস বিদায়
নেওয়ার পর রোনালদোর দলবদল নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। ৩৬ বছর বয়সী তারকার ভবিষ্যৎ ঠিকানা
হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের নাম। ‘বন্ধুসম’ রোনালদোর ভবিষ্যৎ নিয়ে তার সঙ্গে কথা
বলতে পারলে খুশি হবেন বলেও জানান সান্তোস।
“ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্রিস্তিয়ানোকে পরামর্শ
দেই। যখন তার বয়স ১৮, তখন আমি তার প্রধান কোচ ছিলাম এবং আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা অনেক
কাছের।”
“আমরা পরস্পরের সঙ্গে প্রচুর কথা বলি, কিন্তু
এগুলো বন্ধুদের মধ্যে একান্ত ব্যক্তিগত আলাপ। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা আসলে কোচ-খেলোয়াড়ের
নয়। তবে যখন সে জাতীয় দলে থাকে তখনকার ব্যাপারটা আলাদা। সে যদি আমার কোনো পরামর্শ চাই,
তাহলে আমি আমার ভাবনা তাকে জানাব।”