বুধবার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর
আয়োজনে ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভ্যাটিক্যানের আর্চবিশপ ফ্রান্সিস বলেন, “অনন্য প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য্য ও আধুনিক দেশ বাংলাদেশ, সোনার বাংলা, যেখানে ভিন্ন ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়ের
মানুষ ভাষা ও সংস্কৃতির ঐকতানে এগিয়ে যাচ্ছে।
“এটা বাংলাদেশিদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকারের
একটি। আলোচনা ও সংলাপের সংস্কৃতির প্রসার তিনি করেছিলেন, যেটা তার প্রজ্ঞা, জ্ঞানের
গভীরতা ও বিস্তৃত লক্ষ্যে থেকে উৎসারিত।
“তিনি জানতেন, প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতা, শান্তি ও নিরাপত্তা
নিয়ে গঠিত এমন বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ দিয়েই ন্যায়নিষ্ঠ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ
পৃথিবী গড়া যায়।”
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’
প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের আয়োজনের অষ্টম দিন এই ভিডিও বক্তব্য দেন পোপ ফ্রান্সিস।
বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা
ধরে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের শীর্ষ এই ধর্মীয় নেতা।
ভ্যাটিকানের শাসক পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “বাংলাদেশ একটি নবীন
দেশ, যার জন্য বিশেষ স্থান পোপদের হৃদয়ে সব সময় রয়েছে। পোপরা শুরু থেকেই বাংলাদেশের
জনগণের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি প্রাথমিক সংকট মোকাবেলা এবং জাতি গঠন ও উন্নয়ন
সঙ্গী হয়েছিলেন।
”আমি আশা করি, ভ্যাটিকান সিটি ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক
আরও বিকশিত হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় যোগাযোগ ও সংলাপ অব্যাহত থাকবে বলে
আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে
দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও রাজনৈতিক জীবন দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যের
সঙ্গে সংযুক্ত। পাশাপাশি এটা বিগত সময়ের সংলাপ ও বৈচিত্র্যের চেতনার সঙ্গে সম্পর্কিত।”
দেশের জন্য কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে পোপ বলেন,
“বাংলাদেশের বন্ধু হিসাবে আমি আপনাদেরকে, বিশেষ করে তরুণদের আহ্বান জানাই- আসুন মহান জাতির শান্তি ও অগ্রগতির
জন্য কাজ করি।
“একইসঙ্গে শরণার্থী, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও অবলাদের জন্য
সহমর্মিতা ও মানবিকতা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাই।”