গত বছরের অগাস্টে কোচ হিসেবে মাওরিসিও
সাররির জায়গায় আসেন আগে কোনো কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা না থাকা পিরলো।
৪১ বছর বয়সী সাবেক এই মিডফিল্ডারের
খেলোয়াড়ি জীবন অবশ্য দারুণ সমৃদ্ধ। ২০১৭ সালে পেশাদারি ফুটবলকে বিদায় জানানোর আগে জেতেন
একটি বিশ্বকাপ, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ছয়টি সেরি আসহ অনেক শিরোপা।
তবে কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই কঠিন
বাস্তবতার মুখে পড়েছেন পিরলো। বিশেষ করে টানা দশম লিগ শিরোপা জয়ের অভিযানে ইউভেন্তুসের
১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়া এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাকে
নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা শুরু হয়।
তবে স্পোর্টস স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘ডিএজেডএন’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেদভেদ জানালেন,
দলে পিরলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। দল সঠিক পথে আছে বলেও মনে করেন তিনি।
“পিরলো ইউভেন্তুসের কোচ আছে ও থাকবে, এটা শতভাগ
নিশ্চিত…কঠিন বাস্তবতার কথা
ভেবেই আন্দ্রেয়ার সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এর চেয়ে ভালো করতে চেয়েছিলাম
আমরা, কিন্তু পারিনি। তবে কঠিন বাস্তবতা অনুমিতই ছিল।”
“আমরা সঠিক পথে আছি এবং এভাবেই এগিয়ে যাব। অসাধারণ
একজন কোচ হওয়ার সব গুণ তার মধ্যে আছে।”
মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা খরা কাটানোর
লক্ষ্যেই ২০১৮ সালে ১০ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে প্রতিযোগিতার
সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোকে দলে টেনেছিল ইউভেন্তুস। কিন্তু সে চাওয়া পূরণ হয়নি তাদের।
তুরিনে রোনালদোর অভিষেক মৌসুমে ইউভেন্তুস
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল। আর গতবারের মতো এবারও তারা ছিটকে গেলে
শেষ ষোলো থেকে। পোর্তোর বিপক্ষে এবার হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই জোরালো হতে শুরু করেছে
তার রিয়ালে ফেরার গুঞ্জন। তবে চুক্তি অনুয়ায়ী পর্তুগিজ তারকার আগামী মৌসুমেও এখানে
না থাকার কারণ দেখেন না নেদভেদ।
“আমার মতে, রোনালদোকে কোনো দল নিতে পারবে না।
তার সঙ্গে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে এবং সে এখানেই থাকবে।”