অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, কে,
আঁশ ও বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর আপেল। যে কারণে প্রবাদে বলা হয়, দিনে একটি আপেল খেলে
ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখে।
নানান রংয়ের মধ্যে লাল ও সবুজ আপেল বেশি
চোখে পড়ে। আর পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে সবুজ আপেলে রয়েছে বাড়তি গুণ।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে সবুজ আপেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
বিপাক বৃদ্ধি:
সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। আঁশ হজন ক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে ও সহায়তা
করে। হজমক্রিয়া উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাক ক্রিয়াও বৃদ্ধি পায়।
পরামর্শ: নাস্তা
হিসেবে সবুজ আপেল খেতে পারেন, এটা বিপাক বাড়ায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতা: হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম উপকারী উপাদান। সাধারণত, নারীদের হাড় ক্ষয়, সরু হয়ে
যাওয়া ও দুর্বলতার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বয়স ত্রিশের পর থেকে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে।
মেনোপোজের সময় নারীদের সবুজ আপেল খাওয়া প্রয়োজন এটা ‘অস্টিওপোরেসিস’ বা হাড়-ভাঙা প্রতিরোধে
সাহায্য করে।
পরামর্শ: হাড়ের
জটিলতায় ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। পুষ্টির চাহিদা পূরণে সবুজ আপেল দিয়ে
সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।
চর্বি ও ওজন নিয়ন্ত্রণ: সবুজ আপেল আঁশ সমৃদ্ধ ও ওজন কমাতে উপকারী। এটা শর্করার মাত্রা
কমায় এবং এর খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘কে’
রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
পরামর্শ: সবুজ
আপেল বিপাক বাড়ায় ও ওজন কমায়। তাই ওজন কমাতে চাইলে নাস্তা হিসেবে সবুজ আপেলকে বেছে
নিতে পারেন।
ফুসফুস ভালো রাখে: গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন সবুজ আপেল খেলে তা ফুসফুসের ক্ষতির সম্ভাবনা
২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সহায়তা করে। এতে অ্যাজমার ঝুঁকি কমে। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন
তাদের ফুসফুসের সুরক্ষাতেও সবুজ আপেল খাওয়া উপকারী।
পরামর্শ: মহামারীর
সময় ফুস্ফুসের সুরক্ষায় সবুজ আপেল খাওয়া উচিত। প্রতিদিন খাবার তালিকায় একটা করে সবুজ
আপেল রাখুব।
দৃষ্টি শক্তি উন্নত করা: সবুজ আপেল ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা, দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য
করে। তাই দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে নিয়মিত সবুজ আপেল খাওয়া উপকারী।
পরামর্শ: সবুজ
আপেলের সালাদ দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে: আপেল খাওয়ার সময় এর খোসা বা আঁশ ফেলে দেবেন না। আপেলের খোসাও
শরীরের জন্য উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে
দেয়। পাশাপাসগি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
পরামর্শ: প্রতিদিন
আপেল চিবিয়ে খেতে ভালো না লাগলে জুস তৈরি করে খেতে পারেন, এটাও উপকারী।
উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অনেক গবেষণা থেকেই জানা গেছে যে, সবুজ
আপেল হৃদপিণ্ডের সুস্থতা রক্ষায় ভূমিকা রাখে। এতে দ্রবীভূত আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমাতে সাহায্য করে।
‘দ্যা আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল
নিউট্রিশন’ থেকে জানা যায়, সবুজ আপেল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫২
শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম। উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকলে খাবার তালিকায় সবুজ
আপেল যোগ করারা কথা ভুলবেন না।
পরামর্শ: কোলেস্টেরল
ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকলে নিয়মিত সবুজ আপেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আরও পড়ুন