তবে হঠাৎ করে ওর বুদ্ধিটা কমে যেতে লাগলো। কারণ ইদানিং ও খুব বেশি ভিডিও গেমস খেলে।
তাহলে আমি এখন ওর গল্পটা বলা শুরু করি, কীভাবে সায়ানের বুদ্ধি কমে গেল।
সায়ান একসময় খুব গল্প লিখত, বিভিন্ন খেলাধুলাও করত। কিন্তু হঠাৎ করেই ওর লেখালেখি বন্ধ হয়ে গেল। কোন লেখালেখি করতে তার আর একদম ভালো লাগে না। পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে না, গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে না। ওর ভাল লাগে শুধু সারাদিন ট্যাবে ভিডিও গেমস খেলতে।
ওর দাদি একদিন ওকে একটা ট্যাব কিনে দিয়েছিলেন। ওটা পেয়ে ও ভীষণ খুশি হয়। প্রথমে ট্যাবটাতে ও একটা গেমস ডাউনলোড করে। গেমসের নাম ‘ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস’। প্রথমে গেমসটা খুব বেশি ভাল খেলতে পারত না সে। কিন্তু খেলতে খেলতে ও এত বেশি ভালো গেমসটা খেলতে শিখে যায় যে ও আর কিছুতেই গেমসটা খেলা বাদ দিতে পারে না। এটা যেন ওর কাছে একটা নেশার মতো হয়ে যায়। সারাক্ষণ শুধু গেমসের কথা চিন্তা করে- কীভাবে বেশি বেশি করে টাকা জমাবে, কীভাবে বেশি পয়েন্ট পাবে।
এভাবে সারাক্ষণ শুধু গেমসের চিন্তা সায়ানকে পেয়ে যায়। তাই ওর লেখালেখি বন্ধ হয়ে যায়, পড়াশোনায় মন থাকে না। এদিকে ওর আগের লেখা গল্পগুলো এক এক করে প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন পত্রিকায়। সেসব গল্প যখন ছাপা হতে থাকে, বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন প্রশংসা করেন, ও শুনে খুব খুশি হয়। কিন্তু তারপরও ওর মনটা ভিডিও গেমসেই থেকে যায়। লেখালেখি আর মোটেও করতে চায় না।
একদিন সায়ানের মা সায়ানের মিসের কাছে গল্প করে যে তার ছেলের গল্প বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সায়ানের মিসরা শুনে খুব খুশি হন। তারা তার লেখা গল্পগুলো চান। সেসব তারা সায়ানের স্কুলের দেয়ালে টাঙিয়ে দেন।
একথা শুনে সায়ান অনেক খুশি হয়। সঙ্গে সঙ্গে সায়ানের মনে হতে থাকে, এতদিন সে আর গল্প কেন লিখেনি! কেন সে শুধু ভিডিও গেমস নিয়ে ব্যস্ত! এতদিন সে যদি ভিডিও গেমস নিয়ে ব্যস্ত না থাকতো, তবে তো সে আরও অনেক গল্প লিখতে পারতো।
সায়ানের মনে অনেক খারাপ লাগা কাজ করতে থাকে। সে নিজে নিজে অনুতপ্ত হয়। সে তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার লেখালেখি শুরু করে দেয়। তারপর থেকে সায়ান আর বেশি ভিডিও গেমস খেলে না। আর ও মনে করে কারোরই এত বেশি ভিডিও গেমস খেলা উচিত নয়।
লেখক পরিচিতি: শিক্ষার্থী, প্রথম শ্রেণি, দীন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কল্যাণপুর, ঢাকা
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |