বৃহস্পতিবারের এ উৎক্ষেপণ টোকিও অলিম্পিকের আগে ওই অঞ্চলে উত্তেজনার রসদ যোগাবে এবং ওয়াশিংটনের নতুন বাইডেন প্রশাসনের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মন্তব্য করেছে।
জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ আছে। যদি এই উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় তবে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের উদ্যোগকে নতুন একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান পরীক্ষাটির নিন্দা করেছে।
বিবিসি বলেছে, উত্তর কোরিয়া পীত সাগরে দুটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এমন খবর আসার একদিন পরই দেশটির নতুন এ পরীক্ষার কথা জানা গেল।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচী তার প্রতিবেশী ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য যে হুমকি বহন করে তা তুলে ধরেছে।
কমান্ড জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও বিষয়টি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করছে।
জাপান এ বিষয়ে তাদের বেইজিং দূতাবাসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এই পরীক্ষা ওই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকে সম্প্রচারিত মন্তব্যে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, “এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রথম উৎক্ষেপণটি জাপান ও এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন।”
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
উত্তর কোরিয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এমনটি নিশ্চিত করলেও কয়টি ও কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
হোয়াইট হাউস বা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
জাপান সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার একটু পর ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ছোড়া হয়, এর একটি প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার উড়ে এসে সাগরে জাপানের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকার বাইরে পড়ে, এতে এটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অপরটি ৪৩০ কিলোমিটার উড়ে এসে জাপান সাগরে একই এলাকার কাছাকাছি পড়েছে।
এতে কোনো জাহাজ বা আকাশযানের কোনো ক্ষতি হয়নি এবং তাদের জলসীমায় কোনো ধ্বংসাবশেষও পড়েনি বলে জানিয়েছে তারা।
জাপানের কোস্টগার্ড সাগরে পড়ে থাকা কোনো বস্তুর কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছে এবং কিছু দেখলে কোস্টগার্ডকে সে বিষয়ে জানানোর জন্য বলেছে।