এই বিষয়ে
সংশ্লিষ্ট খামারিরা উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত
অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে খামারিরা
বলেন, উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের এককালীন প্রণোদনার
তালিকা তৈরির দায়িত্ব পান সাহেবের আলগা ইউনিয়নের টিকা প্রদানকারী (ভ্যাক্সিনেটর) রিপন
মোল্লা। তিনি ওই ইউনিয়নে ১৫৩ জন সুবিধাভোগীর নামের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ
কার্যালয়ে পাঠান।
অভিযোগে বলা হয়, চলতি
বছর উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ মোট ২ হাজার ৬৩০ জন খামারির তালিকা
অ্যাপস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বরাদ্দ ধরা হয় ২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ টাকা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে
৫ ক্যাটাগরির মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সর্বনিন্ম ১০ হাজার এবং সর্বোচ্চ
২২ হাজার ৫০০ টাকা প্রণোদনার টাকা বরাদ্দ পান বলে অভিযোগে বলা হয়।
এদিকে, প্রণোদনার টাকা
বিকাশে দেওয়ার কথা বলে রিপন তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে মোবাইলের নতুন সিম কিনিয়ে
নেন এবং পরে এসব সিম তার কাছে রেখে দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে
পর্যায়ক্রমে এসব সুবিধাভোগীর ওইসব মোবাইল নম্বরে টাকা এলে ‘রিপন মোল্লা ক্যাশ আউট করে
তাদের প্রত্যেককে ৫ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা’ ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারীদের
মধ্যে শাহিনুর মোল্লা, আবু সাঈদ, ছিদ্দিক, সাহেরা বেগম বলেন, রিপন মোল্লা সুবিধাভোগীদের
প্রণোদনার কারো অর্ধেক, আবার কারো পুরো টাকা টাকা হাতিয়ে নেন। এসব টাকা অফিসের স্যারদের
দিতে হবে বলে জানান।
কেউ টাকা না দিলে পরবর্তীতে
তাদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না জানিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখান বলে তারা
অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে
টিকা প্রদানকারী রিপন মোল্লা বলেন, “আমি শুধু ১৫৩ জনের তালিকা করে অফিসে পাঠিয়েছি।
এর বাইরে আমি কিছু জানি না। ওটা অফিস জানে। তবে নতুন সিম হস্তগত করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি
সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”
এই ব্যাপারে উলিপুর
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আজিজ প্রধান বলেন, “রিপন মোল্লার কাছে বিষয়টি
জানতে চাওয়া হয়েছে; কিন্ত তিনি অস্বীকার করেছেন। আমাদের লোক গিয়ে ওইসব সুবিধাভোগীদের
সাথে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।”
বিষয়টি নিয়ে উলিপুর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, “অভিযোগ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিষয়টি তদন্তে
কোনো কমিটি করা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।