বৃহস্পতিবার উপজেলার
নাগবাড়ি ইউনিয়নের আওলাতুল এলাকার ডিলার ইয়াসিন আলীর গুদাম থেকে ওই চাল উদ্ধার করা হয়
বলে কালিহাতী থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন স্থানীয়
প্রয়াত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে গুদামের কেয়ারটেকার কাম নৈশ-প্রহরী মো. চাঁন মিঞা ওরফে চাঁন্দু
মিঞা (৪০), ইজিবাইক চালক আমজানি গ্রামের প্রয়াত তাহের আলীর ছেলে আবুল হাশেম (২৫) ও
ওসমান গণির ছেলে রাসেল (২৬)।
বৃহস্পতিবার বিকালে
টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করার পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি সওগাতুল
আলম।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক
শাকিলা শারমিন জানান, উদ্ধারকৃত চালের পরিমাণ এক হাজার ৪২৯ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য
৬৪ হাজার টাকা।
এই ঘটনায় তিনি বাদী
হয়ে ডিলার ইয়াসিন আলীসহ পাঁচ জনকে আসামি করে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন
বলে জানান এই খাদ্য কর্মকর্তা।
কালিহাতী উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান বলেন, “সরকারি চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে দুইটি অটোরিকশায়
করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সংবাদে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে প্রতিনিধি হয়ে
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।”
তবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন
পেয়ে পুলিশ তার আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে কামরুল জানান।
“পরে গুদাম কর্মকর্তা
চালগুলো সরকারি- এটা নিশ্চিত করেন আমার উপস্থিতেই,” বলেন তিনি।
নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন বলেন, “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল
কালোবাজারে বিক্রিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত
সন্দেহে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে প্রকৃত দোষীকে
গ্রেপ্তারের দাবি জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।