ক্যাটাগরি

নরেন্দ্র মোদীর আগমনে ‘অভাবনীয়’ নিরাপত্তা বলয়

জোড়া উদযাপনকে কেন্দ্র
করে গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর দিন থেকে ১০ দিনের আয়োজন শুরু হয়েছে। এসব
আয়োজনে এরই মধ্যে অংশ নিয়েছেন মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানের সরকার প্রধানরা।

আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর
দিন শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি গোপালগঞ্জ
এবং সাতক্ষীরায়ও যাবেন। সফরে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবেন তিনি। শনিবার দেশে
ফিরে যাবেন মোদী।

মোদীর সফরকে কেন্দ্র
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় পোশাকে এবং সাদা পোশাকে
বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন এসব বাহিনীর সদস্যরা।

বিদেশি রাষ্ট্র এবং
সরকার প্রধানদের নিরাপত্তার বিষয়ে এরই মধ্যে পুলিশ এবং র‌্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন
করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের
এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার সদস্যকে রাষ্ট্রীয়
অতিথিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে। অতিথিরা যেখানে থাকবেন, সেসব জায়গা কঠোর নিরাপত্তায়
রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুই উদযাপনে নরেন্দ্র
মোদী রাষ্ট্রীয় শেষ অতিথি জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, আগের অতিথিদের
নিরাপত্তায় যেমন ঘাটতি ছিল না, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও থাকবে না।

এআইজি সোহেল রানা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, “রাষ্ট্রীয় মেহমানদের সন্মান এবং দেশের
ভাবমূর্তি রক্ষায় যেকোনো কঠোর ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করা হবে না। দেশ এবং অতিথিদের
সন্মানহানি হয় এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না।”

নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার
বিষয়ে র‌্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) আশিক বিল্লাহ জানান, তিনটি ভাগে তাদের সদস্যরা দায়িত্ব
পালন করছেন।

“পোশাকে, সাদা পোশাকে
এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন ছাড়াও র‌্যাবের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক
নজরদারি করছে।”

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
যে হোটেলে অবস্থান করবেন, যেসব জায়গায় যাবেন- সব জায়গায় ‘অভাবনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা’
নেওয়া হয়েছে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা আশিক বলেন, “সামগ্রিকভাবেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে।”

এদিকে নরেন্দ্র মোদীর
বাংলাদেশে দুইদিন অবস্থানের সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ
করবে।

শুক্রবার সকাল থেকে
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির
গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম বুধবারই জানিয়েছিলেন,
ভিভিআইপিদের চলাচলের জন্য ২৬ ও ২৭ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে
যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত এবং কিছু কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।