অ্যাস্ট্রাজেনেকা
জানিয়েছে, গত মাসের পরীক্ষায় যে ফল তারা পেয়েছিল, তার চেয়ে এবারের ফলাফলে কার্যকারিতার
হার খানিকটা কমেছে।
এর
আগে ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচালিত ট্রায়ালের ফলাফল বিশ্লেষণ করে সোমবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা
দাবি করেছিল, তাদের টিকা ৭৯ শতাংশ কার্যকর।
এদিকে
নতুন ফলাফল প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছে টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা সর্বশেষ পরীক্ষার ফলাফল ব্যবহার না করায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা
কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার
সবশেষ পরিচালিত জরিপে যুক্তরাষ্ট্র, চিলি ও পেরুর ৩২ হাজার ৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর
টিকা প্রয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ১৯০ জন পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর আগে একই
পরীক্ষায় ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অন্তবর্তী উপাত্তে জানানো হয়, আক্রান্তের সংখ্যা ১৪১
জন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার
বায়োফার্মাসিউটিক্যালস-এর গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান মেনে প্যানগালোস এক বিবৃতিতে
বলেন, “এই প্রাথমিক বিশ্লেষণের সঙ্গে আমাদের
আগে প্রকাশিত বিশ্লেষণের সামঞ্জস্য রয়েছে, এবং নিশ্চিত করছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে
আমাদের কোভিড-১৯ টিকা খুবই কার্যকর।”
প্রতিষ্ঠানটি
জানিয়েছে, শিগগিরই তারা এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে
আবেদন করবে। সবশেষ প্রাপ্ত উপাত্ত এরই মধ্যে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পর্যবেক্ষণকারী
নিরপেক্ষ সংস্থা ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা
বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত এই টিকা কোভিড-১৯
এ আক্রান্ত দারুণ সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকর। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের
ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা ৮৫ শতাংশ।
ইউনিভার্সিটি
অব কুইনসল্যান্ডের অধ্যাপক পল গ্রিফিন বলেন, “আমার মত আরও অনেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তৃতীয় ধাপের
এই বিস্তৃত পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলের অপেক্ষায় ছিলেন। দেখা যাচ্ছে এটা খুবই কার্যকর
একটি টিকা এবং সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আশা করছি, এই ফলাফল জনগণকে এই টিকা
ব্যবহারে আস্থা যোগাবে।”
তবে
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতার হার ফাইজার/বায়োএনটেক এবং মডার্না উদ্ভাবিত টিকার
কার্যকারিতার হারের চেয়ে কম। মার্কিন ওই দুটি টিকার কার্যকারিতার হার ৯৫ শতাংশ।
তবে
খরচ কম হওয়ায় এবং সংরক্ষণ ও পরিবহন সহজ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার
টিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ৭০টিরও বেশি দেশ শর্তসাপেক্ষে বা জরুরি ব্যবহারের
জন্য এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।