পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ব্যক্তি উদ্যোগে এক মিনিটের জন্য নেভানো হয় বৈদ্যুতিক বাতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে প্রতিবেদক রাসেল সরকার জানান, রাত ৯টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে টিএসসি এলাকায় সড়কবাতিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বাতিগুলো এক মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি তিতুমির কলেজে একাডেমিক ভবন ও মাঠের বাতিগুলো রাত ৯টার পর এক মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থানরত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্রী আসিফ মাহমুদ অভি জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগারগাঁওয়ে এতোদিন ধরে যে বিজলিবাতি ও অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধক আলোকসজ্জা ছিল বৃহস্পতিবার রাতে তার কোনোটিই দেখা যায়নি।
এই রাতের বিভীষিকার কথা স্মরণ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মুফিদুল বলেন, ৫০ বছর আগে এই রাতে সূচিত হয়েছিল ২০ শতকের ঘৃণ্যতম হত্যা অভিযান। অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে পাকিস্তানি সুসংগঠিত বাহিনী এই রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর। জাতির মুক্তির স্পৃহা রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার মহা আয়োজন। এর পরে নয়মাস জুড়ে যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ কৈরা হয় তা তৈরি করে রক্তের মহাসমুদ্র।
কালরাতের স্মৃতির স্মরণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবা্র্ষিকী উপলক্ষে চলা ১০ দিনের আয়োজনেও ছিল ভিন্ন মাত্রা।
সোমবার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, একাত্তরের পঁচিশে মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার রাতে এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে পুরো বাংলাদেশ। পাশাপাশি ওই রাতে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে।”
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট (বিদ্যুৎহীন)’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।